—ফাইল চিত্র
রিলায়্যান্স রিটেলকে ফিউচার রিটেলের ব্যবসা বিক্রি নিয়ে অ্যামাজ়নের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছে ফিউচার গোষ্ঠী। চলছে দু’তরফের পত্রযুদ্ধ। এই অবস্থায় অ্যামাজ়নকে পাঠানো প্রথম চিঠিতে বর্তমান আর্থিক সঙ্কট এবং আইনি ঝামেলার জন্য সরাসরি আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাটিকেই দায়ী করলেন কিশোর বিয়ানি-সহ ফিউচারের প্রোমোটারেরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যামাজ়ন।
বিয়ানির দাবি, লকডাউনে যখন ফিউচারের রিটেল ব্যবসা ধুঁকছিল, ১১,২৫০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল ঋণ এবং পাওনা মেটাতে তাগাদা দিচ্ছিল ব্যাঙ্কগুলি, তখন সব কিছু জেনেও হাত গুটিয়ে বসেছিল অ্যামাজ়ন। ফিউচার দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়ালেও, সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। শুধু আশ্বাস দিয়েই দায় সেরেছে।
ফিউচারের আরও অভিযোগ, রিলায়্যান্সের সঙ্গে কথা বলার সময় সম্পর্কে জানত অ্যামাজ়ন। কিন্তু ২ জুলাই থেকে ১৪ অগস্টের সেই সময়ে সাহায্যের পরিকল্পনা বা প্রস্তাব দেয়নি তারা। ফলে ফিউচার রিটেলে প্রোমোটারদের সিকিউরিটি হারাতে হয়েছে। সেই ঋণপত্রের দামও কমেছে। অ্যামাজ়নের কাছে ১৪৭০ কোটি টাকা লগ্নিতে ফিউচার রিটেলে তাদের অংশীদারি ৪.৮% থেকে ১৯.১% করা -সহ নানা প্রস্তাব পাঠানো হলেও, রাজি হয়নি তারা। অথচ আপত্তি তুলেছে রিলায়্যান্সকে ব্যবসা বিক্রির পরেই।
অ্যামাজ়নের মুখপাত্রের যদিও দাবি, ফিউচার রিটেলকে সাহায্যের জন্য সংস্থা কিছুই করেনি, এই দাবি ঠিক নয়। বিভিন্ন উপায় নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গেই আলোচনা চালানো হচ্ছিল। ফিউচারের প্রোমোটারদের সঙ্গেও কথা বলছিল সংস্থা। বিভিন্ন শর্ত-সহ যার সই করা নথিও রয়েছে। ফলে এই অভিযোগ সত্যি নয়।