—প্রতীকী ছবি।
করোনার মধ্যে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে (এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি) দেশে ১০,০০০-এর বেশি সংস্থা নিজে থেকেই ঝাঁপ বন্ধ করেছে। সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানিয়েছেন অর্থ ও কোম্পানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থাগুলি সম্পর্কে আলাদা করে কোনও তথ্য রাখা হয় না বলেই জানান তিনি।
অতিমারি যুঝতে সারা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছিল লকডাউন। কিন্তু সেই পদক্ষেপ যে শিল্প সংস্থা, বিশেষত ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, তা বারবারই বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। যার জেরে বিপুল সংখ্যক কাজ হারানোর ছবিও দেখেছে সারা দেশ। ঠাকুরের এই মন্তব্য সে কথাই আবার প্রমাণ করল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আজ অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০,১১৩টি সংস্থার মধ্যে দিল্লিতেই ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে ২৩৯৪টির এবং উত্তরপ্রদেশে ১৯৩৬টির। এর বাইরে তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে সেই সংখ্যা যথাক্রমে ১৩২২ এবং ১২৭৯টি। কর্নাটক (৮৩৬), চণ্ডীগড় (৫০১), রাজস্থান (৪৭৯), তেলঙ্গানা (৪০৪), কেরল (৩০৭), ঝাড়খণ্ড (১৩৭), মধ্যপ্রদেশ (১১১) এবং বিহারে (১০৪) তা একশোর উপরে।
সরকারি পরিসংখ্যানে আরও জানানো হয়েছে, এর মধ্যেই কিছুটা ভাল অবস্থায় রয়েছে মেঘালয় (৮৮), ওড়িশা (৭৮), ছত্তীসগঢ় (৪৭), গোয়া (৩৬), পুদুচেরি (৩১) এবং গুজরাত (১৭)। আর দশেরও কম সংস্থা বন্ধ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৪) এবং আন্দামান ও নিকোবরে (২)।