—প্রতীকী চিত্র।
দূষণ কমাতে পরিবহণে বৈদ্যুতিকের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) মতো পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যে কলকাতা-সহ সংলগ্ন কয়েকটি জেলার বেশ কিছু পাম্পে শুরু হয়েছে সিএনজি বিক্রি। কিন্তু গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, শহরের আশেপাশের কয়েকটি পাম্পে সকালের মধ্যেই ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাস। অনেক গাড়ি লাইনে দাঁড়িয়েও পাচ্ছে না। ওই অঞ্চলে ভারপ্রাপ্ত বণ্টন সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি (বিজিসি) সূত্রে খবর, পরিবহণের সমস্যায় গত সপ্তাহে কিছু পাম্পে জোগান ধাক্কা খেয়েছিল। এখন তা মিটেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি এবং যৌথ উদ্যোগের বণ্টন সংস্থাকে গ্যাস জোগাচ্ছে। বিজিসি (কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায়), আইওসি-আদানি গ্যাস (পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (আপাতত হুগলি ও নদিয়ায়) পাম্পে তা বণ্টনের দায়িত্বে। আইওসি-আদানি গ্যাসকে মূল পাইপলাইনেই গ্যাস পাঠাচ্ছে গেল। কিন্তু পাইপলাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় বাকি দুই সংস্থাকে তা বর্ধমান থেকে আনতে হয় একে অপরের সঙ্গে যুক্ত একগুচ্ছ সিলিন্ডারে (মোবাইল কাসকেড) ভরে, ট্রাকের মাধ্যমে। সূত্রের খবর, বিজিসি দৈনিক প্রায় ১১টি ট্রাকে গ্যাস আনছিল। সপ্তাহখানেক আগে দু’টি ট্রাক খারাপ হয়। তবে সংস্থার দাবি, এখন জোগান স্বাভাবিক হয়েছে। ক্রমশ বাড়তে থাকা চাহিদার কথা মাথায় রেখে দিন দশেকের মধ্যে আরও দু’টি ট্রাক চালু হবে।
বিসিজি এখন ১০টি পাম্পে সিএনজি দিচ্ছে। দিনে সেখানে বিক্রি গড়ে ৮০০০-৯০০০ কেজি। আরও দু’টির পরিকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সর্বাধিক চাহিদা কসবায়, রাজ্যের পরিবহণ দফতরের বাস ডিপোর পাম্পটিতে।