Gautam Adani

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

সংস্থার দাবি, শেয়ার বিক্রির উদ্যোগকে বানচাল করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যে প্রচারের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। এই রিপোর্ট দেখে তারা হতবাক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৬
Share:

গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।

দেশের সব থেকে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির গোষ্ঠী কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে, অভিযোগ তুলল আমেরিকার লগ্নি নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। দাবি করল, দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা জেনেছে, ভারতের এই শিল্প গোষ্ঠী হিসাবেও জালিয়াতি করেছে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে রিপোর্টের উদ্দেশ্য নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে আদানিরা। তাদের দাবি, এই বক্তব্য ভিত্তিহীন, বিদ্বেষপরায়ণ, একতরফা এবং দুর্নাম করার চেষ্টা। এর স্বপক্ষে তথ্য-প্রমাণ নেই। যদিও এই সাফাই গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দরের পতন আটকাতে পারেনি।

Advertisement

এই রিপোর্ট সামনে এসেছে এমন সময়, যখন বাজারে ফের শেয়ার বেচে তহবিল সংগ্রহের তোড়জোড় চালাচ্ছে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস। ২০,০০০ কোটি টাকার শেয়ার বাজারে আসবে ২৭ জানুয়ারি। বন্ধ হবে ৩১ তারিখ। সংস্থার দাবি, শেয়ার বিক্রির উদ্যোগকে বানচাল করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যে প্রচারের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। এই রিপোর্ট দেখে তারা হতবাক। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি প্রকাশিত হবে, জানিয়েছেন গোষ্ঠীর মুখপাত্রেরা।

রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, এক দশক ধরে আদানি গোষ্ঠী তাদের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ১২,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৯,৭৯,৮০০ কোটি টাকা) নিট সম্পদের ১০,০০০ কোটিই এসেছে গত তিন বছরে, দামে কারচুপির মাধ্যমে শেয়ার সম্পদ চড়িয়ে। গড় বৃদ্ধি ৮১৯%। শুধু তা-ই নয়, হিসাবে জালিয়াতির অভিযোগ এনে গবেষণা সংস্থাটি মরিশাস, আরব আমিরশাহীর মতো আয়কর ছাড়ের সুবিধা মেলে এমন কিছু দেশে আদানি পরিবারের মালিকানাধীন কিছু ভুয়ো সংস্থার কথা উল্লেখ করেছে। বলেছে, সেগুলির মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন, কর ফাঁকি ও আইন ভেঙে নথিভুক্ত সংস্থা থেকে অন্যত্র টাকা সরানোয় লিপ্ত ছিল তারা। হিন্ডেনবার্গের দাবি, গবেষণা চালাতে তারা কথা বলেছে কয়েক ডজন ব্যক্তির সঙ্গে। যাঁদের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর কয়েক জন প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্তাও রয়েছেন। পর্যালোচনা করা হয়েছে কয়েক হাজার নথি। খতিয়ে দেখা হয়েছে প্রায় আধ ডজন দেশের ওয়েবসাইটও।

Advertisement

রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই পড়তে থাকে গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দর। বিএসই-তে আদানি ট্রান্সমিশনের দর ৮.৮৭% পড়ে হয় ২৫১১.৭৫ টাকা। আদানি পোর্টস অ্যান্ড সেজ়-এর নামে ৬.৩০%, আদানি টোটাল গ্যাসের ৫.৫৯%, আদানি উইলমার ও আদানি পাওয়ারের ৫% করে। আদানি গ্রিন এনার্জির ৩.০৪% ও আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের ১.৫৪%।সম্প্রতি অম্বুজা সিমেন্ট, এসিসি এবং এনডিটিভি-কে কিনেছেন গৌতম আদানি। রক্ষা পায়নি তারাও। সিমেন্ট সংস্থা দু’টির দর ৭ শতাংশের বেশি পড়েছে। এনডিটিভি নেমেছে ৫%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement