India

India and Bangladesh: বাণিজ্যে দুই বাংলার যৌথ কর্মসূচির পক্ষে সওয়াল

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কর্মসূচির পক্ষেই সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২২ ০৭:৩১
Share:

ফাইল ছবি

দু’দেশের সীমান্ত মুছে না-যাক, বাণিজ্যে লক্ষ্মীলাভের ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কর্মসূচির পক্ষেই সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এ ভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও বেশি মজবুত হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারত সরকার উদ্যোগী হলে তবেই এটা সম্ভব হবে। দু’দেশের সীমান্ত হয়তো এক হতে পারবে না। কিন্তু বাণিজ্যের দিক থেকে এক হলে আর্থিক দিকে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হবে।’’

Advertisement

আলাপন জানান, পশ্চিমবঙ্গ যেমন বস্ত্র শিল্পে খুব উন্নতি করেছে, গত কয়েক বছরে বস্ত্র শিল্পে প্রভূত উন্নতি করেছে বাংলাদেশও। তাই বস্ত্র শিল্পে দুই বাংলার একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিক থেকে দু’দেশই উপকৃত হবে। এতে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রধান দেশ হতে পারে ভারত। প্রাক্তন মুখ্যসচিব শুধু বস্ত্র শিল্পেই আটকে থাকেননি। তিনি বলেছেন, কৃষি থেকে শুরু করে হস্তশিল্প, নানা বিষয়ে দুই বাংলার প্রচুর মিল রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ, দু’জায়গাতেই বাংলা বই প্রকাশনার সূত্রে বইয়ের বাজার রয়েছে। নাটক, সিনেমার মতো বিষয়েও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন রয়েছে দুই বাংলার মধ্যে। এই সব বিষয় নিয়েই দুই বাংলার মধ্যে যৌথ বাণিজ্যের বিশাল সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এই বাণিজ্যের প্রসঙ্গেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সড়ক এবং নদীপথে যোগাযোগের আরও উন্নতি প্রয়োজন বলে জানান আলাপন। তিনি মনে করেন, বণিকসভা এ ব্যাপারে রূপরেখা তৈরি করতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বণিকসভার তিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অলোক মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রজিৎ সেন ও অম্বরীশ দাশগুপ্ত এবং কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থসারথি ভট্টাচার্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement