বিমান সংস্থা গো ফার্স্টকে স্বস্তি দিল ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনাল’ এনসিএলটি বা দেউলিয়া আদালত)। ফাইল চিত্র।
উড়ান সংস্থা গো ফার্স্টকে স্বস্তি দিল ‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনাল’ এনসিএলটি বা দেউলিয়া আদালত। সংস্থাকে বাঁচাতে তাদের উপরে দেউলিয়া বিধি কার্যকরের জন্য এসসিএলটি-তে গো ফার্স্ট কর্তৃপক্ষ যে আবেদন জানিয়েছিলেন, বুধবার তা মঞ্জুর করা হয়েছে। এনসিএলটি-র ২ সদস্যের বেঞ্চ আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত বিমান সংস্থাটি পরিচালনার জন্য সাময়িক দায়িত্ব দিয়েছে অভিলাস লালকে। নতুন ঋণের ব্যবস্থা এবং দেনা পুনর্গঠন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
কাঁধে বিপুল দেনা। এই অবস্থায় সম্প্রতি উড়ান পরিষেবা কার্যত বন্ধ করেছে সস্তার বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। সোমবার সংস্থাটিকে অবিলম্বে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ। একই সঙ্গে ১৯৩৭ সালের বিমানবিধি অনুযায়ী কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়— কেন নিরাপদ, দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হল তারা। ১৫ দিনের মধ্যে এর উত্তর চেয়েছে ডিজিসিএ। তাদের জবাবের উপরেই নির্ভর করছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর সংস্থার হাতে ভবিষ্যতে বিমান পরিষেবা দেওয়ার শংসাপত্র (এয়ার অপারেশন সার্টিফিকেট বা এওসি) থাকবে কি না।
কোনও সংস্থার এওসি না থাকলে, তাদের বিমান আকাশে ডানা মেলতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে দেউলিয়া বিধি কার্যকরের দাবি মঞ্জুর হওয়ায় এখনই এওসি শংসাপত্র বাতিলের আশঙ্কা কাটল বলে মনে করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রির উপর ডিজিসিএ-র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ারও সম্ভাবনা রইল। প্রসঙ্গত, গো ফার্স্টের কাঁধে এখন ১১,৪৬৩ কোটি টাকা ঋণের বোঝা। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাওনাদারের কাছে ৩৮৫৬ কোটির বকেয়া ধার। বিমানের ইজারাদার সংস্থাগুলির কাছে ২৬০০ কোটিরও বেশি দেনা। এদের মধ্যে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিঅ্যান্ডডব্লিউ) ইঞ্জিনের জোগান বন্ধ করায় ২৮টি বিমান বসিয়ে দিতে হয়েছে সংস্থাকে। এই পরিস্থিতিতে ১২ মে পর্যন্ত সমস্ত উড়ান বাতিল করা হয়েছে।