সম্প্রতি উড়ান পরিষেবা কার্যত বন্ধ করেছে সস্তার বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। ফাইল চিত্র।
কাঁধে বিপুল দেনা। এই অবস্থায় সম্প্রতি উড়ান পরিষেবা কার্যত বন্ধ করেছে সস্তার বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট। সংস্থাকে বাঁচাতে তাদের উপরে দেউলিয়া বিধি কার্যকরের জন্য দেউলিয়া আদালতে (এনসিএলটি) গিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, সোমবার সংস্থাটিকে অবিলম্বে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ। একই সঙ্গে ১৯৩৭ সালের বিমান বিধি অনুযায়ী কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন নিরাপদ, দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হল তারা। ১৫ দিনের মধ্যে এর উত্তর চেয়েছে ডিজিসিএ। তাদের জবাবের উপরেই নির্ভর করছে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর সংস্থার হাতে ভবিষ্যতে বিমান পরিষেবা দেওয়ার শংসাপত্র (এয়ার অপারেশন সার্টিফিকেট বা এওসি) থাকবে কি না। কোনও সংস্থার এওসি না থাকলে, তাদের বিমান আকাশে ডানা মেলতে পারে না। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গো ফার্স্টের ভবিষ্যতে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল আজ। এই পরিস্থিতিতে এনসিএলটিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আর্জি জানিয়েছে সংস্থা।
গো ফার্স্টের কাঁধে এখন ১১,৪৬৩ কোটি টাকা ঋণের বোঝা। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাওনাদারের কাছে ৩৮৫৬ কোটির বকেয়া ধার। বিমানের ইজারাদার সংস্থাগুলির কাছে ২৬০০ কোটিরও বেশি দেনা। এদের মধ্যে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিঅ্যান্ডডব্লিউ) ইঞ্জিনের জোগান বন্ধ করায় ২৮টি বিমান বসিয়ে দিতে হয়েছে সংস্থাকে। ১২ মে পর্যন্ত সমস্ত উড়ান বাতিল করা হয়েছে। আজ ডিজিসিএ-র নির্দেশ, সরাসরি হোক বা এজেন্টের মাধ্যমে, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে টিকিট বিক্রি। ফলে এর আগে ডিজিসিএ ১৫ মে পর্যন্ত সংস্থার টিকিট বিক্রি বন্ধের কথা বললেও, এ বার তার মেয়াদ আরও বাড়ল কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এ দিকে, সংস্থা বাঁচাতে এনসিএলটিতে গিয়েছিল গো ফার্স্ট। আজ সংস্থার দুই আইনজীবী পি নাগেশ ও প্রাঞ্জল কিশোর ট্রাইবুনালের প্রধান বেঞ্চে জানান, ইজারাদারেরা গো ফার্স্টকে দেওয়া বিমানগুলির নথিভুক্তি বাতিল করতে ডিজিসিএ-র কাছে আবেদন জানাতে শুরু করেছে। তাই এনসিএলটি দ্রুত সিদ্ধান্ত দেউলিয়া বিধি কার্যকর করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পথ করুক। ট্রাইবুনাল আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে তারা।