—প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চাওয়া তৃতীয় দফার দরপত্রে আগেই আগ্রহ প্রকাশ করে প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। তাতে সিংহভাগ বরাতের যোগ্যতামান পেরিয়েছিল আদানি টোটাল এনার্জিস ই-মোবিলিটি (ফরাসি টোটাল-এনার্জিসের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যৌথ উদ্যোগ)। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই দরপত্রের নিরিখে বাছাই অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আদানির যৌথ সংস্থাটির প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিয়েছে বণ্টন সংস্থার পর্ষদ।
দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচ কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে রাজ্যও। এ জন্য সেগুলির চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়তে এর আগে দু’দফায় যৌথ উদ্যোগে মোট ১০৪টি চার্জিং স্টেশন গড়ার বরাত দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তাদের খালি জায়গার পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা এবং পর্যটন বিভাগের অধীন পথসাথীর ফাঁকা অংশেও স্টেশনগুলি তৈরি হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, তৃতীয় দফায় ওই তিন সংস্থার পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন বিভিন্ন পুরসভার কিছু উদ্বৃত্ত জমিকেও চিহ্নিত করে আরও ১৩২টি স্টেশন গড়ার জন্য দরপত্র চায় বণ্টন সংস্থাটি। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাতে সাড়া দেয়। শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তিগত ও আর্থিক দরপত্র, দু’টি মিলিয়ে ওই দফায় ৮৪টি স্টেশন গড়ার জন্য কয়েকটি সংস্থার প্রস্তাব যোগ্য বিবেচিত হয়। তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি চার্জিং স্টেশন গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে আদানির যৌথ সংস্থা। এ পর্যন্ত তিন দফার দরপত্রে যোগ্যতামান পেরনোর দৌড়ে রিলায়্যান্স বিপি মোবিলিটি-কে (জিয়ো বিপি) খানিকটা পিছনে ফেলেছে আদানি গোষ্ঠী। প্রথম দফার দরপত্রে ১১টি চার্জিং স্টেশন গড়ার বরাত জিতেছিল মুকেশ অম্বানীর যৌথ সংস্থাটি। পরের দু’দফার দরপত্রে অবশ্য তারা আর অংশ নেয়নি বলে সংস্থা সূত্রের খবর। তৃতীয়টির ক্ষেত্রেই প্রথম অংশ নেয় আদানির সংস্থাটি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আদানিরা ছাড়াও আরও চারটি সংস্থা তৃতীয় দফার দরপত্রে যোগ্যতমান পেরিয়েছে। সবগুলিতেই সায় দিয়েছে বণ্টন সংস্থা। বাকি প্রক্রিয়াগত বিষয় ঠিক থাকলে শীঘ্রই সকলকে ওই পরিকাঠামো তৈরির বরাত দেওয়া হবে।