গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
গত এপ্রিল পর্যন্ত ছ’মাসে যেখানে দেশের প্রথম সারির ৫০০টি বেসরকারি সংস্থার শেয়ারমূল্য ৬% নেমেছিল, সেখানেই আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে দরে অর্ধেকেরও বেশি পতন হয়েছিল বলে জানাল সমীক্ষা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বার্গেন্ডি প্রাইভেট এবং হুরুন ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, এই সময়ে আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারমূল্য কমেছে ৭৩.৮%, আদানি ট্রান্সমিশনের ৬৯.২% এবং আদানি গ্রিন এনার্জির ৫৪.৭%। পরে অবশ্য তাদের দর বেড়েছে অনেকটাই।
২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ এনেছিল আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তার পর থেকেই টানা পড়ছিল তাদের সংস্থাগুলির দর। রিপোর্ট বলছে এপ্রিল পর্যন্ত ছ’মাসে গোষ্ঠীর আটটি সংস্থার ক্ষেত্রে তা ৫২% বা ১০.২৫ লক্ষ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। বাজারমূল্যের নিরিখে প্রথম ১০টি সংস্থার তালিকা থেকে বেরিয়ে গিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস এবং আদানি টোটাল গ্যাস।
আদানিরা অবশ্য বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি তারা বলেছে, ‘স্বাধীন’ আইন সংস্থাও তাদের লেনদেনে কোনও গলদ খুঁজে পায়নি। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার নেট অ্যান্ডারসন টুইট করেছেন, সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রশ্ন ছিল যে আইন সংস্থার কথা বলা হচ্ছে, তারা কি সিরিল অমরচাঁদ মঙ্গলদাস? যেখানে গৌতম আদানির পুত্রবধু পরিধি পার্টনার এবং তাঁর বাবা সংস্থার মালিক। আদানিরা যদিও তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। পরিধি আদানিদের বিভিন্ন লেনদেনে পরামর্শও দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রেও সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও লেনদেন হয়নি বলেই দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী।