Adani Group

Adani: এ বার বিমানবন্দর চুক্তি নিয়ে বিতর্কের মুখে আদানি গোষ্ঠী

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্রের মাধ্যমে তিন বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় আদানি গোষ্ঠী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

দরপত্রের মাধ্যমে দেশের ছ’টি বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু বছরের গোড়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) উদ্যোগে হওয়া তদন্তে উঠে এসেছে, এর মধ্যে তিনটি বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিং এবং লোগো সংক্রান্ত চুক্তি ভেঙেছে তারা। গত ২৯ জুনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এএআইয়ের নির্দেশে আমদাবাদ বিমানবন্দরের ব্র্যান্ডিং ও লোগোয় প্রয়োজনীয় বদল শেষ হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরু ও লখনউয়ে কাজ চলছে। তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে উঠে এসেছে এই সংক্রান্ত তথ্য। সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার পুঁজি ঢালা নিয়ে সেবি এবং ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স তদন্ত শুরু করেছে বলে সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই এ বার সামনে এল ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত অনিয়ম।

Advertisement

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্রের মাধ্যমে তিন বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় আদানি গোষ্ঠী। তাদের তিন সংস্থা আদানি লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএলআইএএল), আদানি ম্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএমআইএএল) এবং আদানি আমদাবাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এএআইএএল) এএআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।

গত ডিসেম্বরে এএআইয়ের নজরে আসে, তিন বিমানবন্দরের ব্র্যান্ডিং এবং বিভিন্ন ডিসপ্লে যে ভাবে করা হয়েছে তার সঙ্গে মূল চুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারার সামঞ্জস্য নেই। সেগুলি ঠিক করতে তারা তিন সংস্থাকে চিঠি দেয়। কিন্তু সংস্থাগুলি সেই সময়ে দাবি করে, তারা ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত চুক্তি ভাঙেনি। এর মাসখানেক পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে তিন বিমানবন্দরের জন্য তিনটি কমিটি তৈরি করে এএআই। কমিটিতে আদানি গোষ্ঠীর এক জন করে আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্টস (ইন্ডিয়া) লিমিটেডের এক জন এবং এএআইয়ের দু’জন করে প্রতিনিধিকে রাখা হয়। গত জানুয়ারিতে লখনউ বিমানবন্দরের কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়। জানানো হয়, বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থানের রাস্তায় হোর্ডিংয়ে আদানি এয়ারপোর্টসের নামও রয়েছে। অথচ, চুক্তি অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলি সর্দার বল্লভভাই পটেল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ও ম্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট হিসেবে পরিচিত হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে আদানিদের সংস্থার নাম ও লোগো যে সব জায়গায় রয়েছে সেখানে সমান গুরুত্ব দিয়ে এএআইয়ের নাম এবং লোগো রাখা হয়নি।

Advertisement

আমদাবাদ এবং ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের কমিটির রিপোর্টেও একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়। আমদাবাদ বিমানবন্দরের কমিটি জানায়, এএআইয়ের লোগোর আয়তন আদানি গোষ্ঠীর সংস্থার লোগোর ছ’ভাগের এক ভাগ।

এক প্রশ্নের উত্তরে আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্র দাবি করেছেন, এখন তাঁদের সংস্থা এবং এএআইয়ের লোগো সমান গুরুত্ব দিয়ে রাখা রয়েছে। তবে গত ২৯ জুনের তথ্য অনুযায়ী, ম্যাঙ্গালুরু এবং লখনউ বিমানবন্দরে লোগোর প্রয়োজনীয় বদলের কাজ চলছে। আমদাবাদে তা শেষ হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement