Fitch Ratings

Fitch Ratings: অর্থনীতির অনিশ্চয়তা স্পষ্ট ফিচের রিপোর্টে

ফিচের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৭%। পরের বার ১০%।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস ভারতের অর্থনীতির গায়ে ‘BBB-’ রেটিং-ই সেঁটে রাখল। কোন দেশে লগ্নি কতটা ঝুঁকির, তা মাপার নিরিখে যে রেটিং লগ্নিযোগ্যতার একেবারে শেষ ধাপ। অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও (আউটলুক) নেতিবাচক (নেগেটিভ) রেখেছে তারা। যার মানে, রেটিং বাড়ার সম্ভাবনা নেই কিন্তু কমার আশঙ্কা বহাল। গত বছর জুনে দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল (স্টেবল) থেকে নেতিবাচকে নামিয়েছিল তারা। তখন করোনায় জর্জরিত চারপাশ। লকডাউনের জেরে অর্থনীতি অন্ধকারে তলিয়েছে। প্রায় ১৯ মাস পরে মোদী সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর দাবি করলেও বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলির চোখে অর্থনীতির অবস্থা যে এখনও অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ, সেটা ফের স্পষ্ট হল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। বিশেষত ঋণ নিয়ে। যা কেন্দ্রের সীমিত আর্থিক সামর্থের নিরিখে বেশ চিন্তার। তবে সরকারি মহল মনে করাচ্ছে, সম্প্রতি মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক থেকে স্থিতিশীল করেছে। যা রেটিং আর না-কমার ইঙ্গিত।

Advertisement

ফিচ অবশ্য কেন্দ্রকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে অর্থনীতির দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানো এবং মাঝারি মেয়াদে আর্থিক বৃদ্ধির ঝুঁকি কমার কথা বলে। সরকারের ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ধার, দুর্বল আর্থিক ক্ষেত্র এবং কিছু কাঠামোগত সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করলেও, প্রশংসা করেছে পোক্ত বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ও সংস্কারের পদক্ষেপের। বলেছে, উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক উৎসাহ প্রকল্প প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে গতি আনবে।

পাশাপাশি শ্রম সংস্কার, ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ শুষে নিতে তৈরি করা ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পুঁজি ঢালার উদ্যোগ এবং সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ক্ষেত্রকে ব্যবহার করতে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আর্থিক বৃদ্ধির সহায়ক হবে বলেও মনে করে মূল্যায়ন সংস্থাটি। তবে এটাও মনে করিয়েছে, সংস্কার রূপায়ণের কাজ এবং দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া সব ক্ষেত্রে সমান না-হওয়ার ঝুঁকি বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

বিরোধী-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অর্থনীতির BBB- রেটিং মানে খাদের মুখে ঝুলে থাকাই। আর এক ধাপ নামলেই ভারতকে লগ্নির অযোগ্য দেশের তালিকায় ঢুকতে হবে। আর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যত সেই হুঁশিয়ারি। সাবধানে, সতর্ক হয়ে এবং ভেবেচিন্তে এগোনোর বার্তা সরকারকে। বলেছে, যথেষ্ট মূলধন না-জোগালে ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ বাড়তে বহু বছর লাগবে বলে মনে করছে তারা। আর ঋণ না-বাড়লে উন্নতি হবে কী করে!

ফিচের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৭%। পরের বার ১০%। মুডি’জ়ের পূর্বাভাস ছিল যথাক্রমে ৯.৩% এবং ৭.৯%।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement