—প্রতীকী চিত্র।
কয়েক বছর আগেও আর্থিক হাল খারাপ ছিল। অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় হিসাবের খাতা উদ্বেগের কারণ হয়েছিল অনেকের। চড়া সুদের জমানায় পা রেখে সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিই গত অর্থবর্ষে সম্মিলিত ভাবে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মুনাফার মুখ দেখেছিল। সেই ধারা বজায় রইল চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেও। এই সময়ে মুনাফা দ্বিগুণ করতে সক্ষম হল তারা। যা পৌঁছল ৩৪,৭৭৪ কোটি টাকায়। গত বছরের এপ্রিল-জুনে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট লাভের অঙ্ক ছিল ১৫,৩০৬ কোটি টাকা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এপ্রিল-জুনে প্রকাশিত ফল অনুসারে চারটির ক্ষেত্রে মুনাফা ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (৩০৭%)। তার পরে স্টেট ব্যাঙ্ক (১৭৮%), ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (১৭৬%)। আরও পাঁচটি ঋণদাতার ক্ষেত্রে মুনাফা বৃদ্ধির হার ৫০%-১০০%। যার মধ্যে প্রথম তিনে রয়েছে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অব বরোদা এবং ইউকো ব্যাঙ্ক। একমাত্র পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই তা কমেছে ২৫%। মোট মুনাফার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই এসেছে স্টেট ব্যাঙ্কের হাত ধরে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সুদ বাবদ আয় বৃদ্ধি এবং নানা রকম ব্যবস্থা নিয়ে অনুৎপাদক সম্পদ কমানোয় সাফল্যই ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ব্যাঙ্কগুলিকে। বিশেষত, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে অনাদায়ি ঋণ চিহ্নিত করে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া, বকেয়া ঋণ পুনরুদ্ধার, পুঁজি জোগাড় এবং তহবিল জোগানোর মতো সংস্কারমূলক পদক্ষেপ কাজে লেগেছে।