—প্রতীকী ছবি।
ভারতের আর্থিক অগ্রগতির জন্য যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে মোদী সরকার জোর দিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম রফতানি। তারা চাইছে দেশকে বিশ্বের জোগান-শৃঙ্খলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলতে। অথচ সরকারেরই তথ্য বলছে, যে ১০টি দেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রফতানি হয়, গত অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) তাদের মধ্যে ন’টির সঙ্গেই বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ভারতের। শুধু তা-ই নয়। চিন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং হংকংয়ের ক্ষেত্রে তা ২০২২-২৩ সালের থেকেও বেড়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে দেখলে গত বছর ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ২৬,৪৯০ কোটি ডলার থেকে কমে হয়েছে ২৩,৮৩০ কোটি।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনও দেশ কাঁচামাল আমদানি করে নিজেদের উৎপাদন বাড়ায় এবং সেই সূত্রে রফতানি মাথা তোলে, তা হলে এই খাতে হওয়া ঘাটতিকে ততটা খারাপ বলা চলে না। তবে এতে স্থানীয় মুদ্রার উপরে চাপ বাড়ে। উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর মতে, আমদানিকারী দেশ যদি রফতানিকারীর উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তা হলে সেটা তাদের অর্থনীতির পক্ষে খারাপ। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রার অবনমনের ফলে আমদানির জন্য বিদেশি মুদ্রা বেশি করে লাগে। তাতে আমদানির খরচ বাড়ে। মাথা তোলে বাণিজ্য ঘাটতি। যা মেটাতে আবার বিদেশ থেকে বেশি ধার করতে হয়, সব মিলিয়ে অর্থনীতির উপরে চাপ বাড়ে। এই সমস্যা যুঝতে রফতানি বাড়ানো, অহেতুক আমদানি বন্ধ করা, দেশীয় শিল্পে জোর দেওয়া এবং মুদ্রার দর স্থির রাখা এবং ঋণ কমানো জরুরি বলে মত তাদের।