—প্রতীকী চিত্র।
দেশে বেকারত্ব ছ’বছরে সব চেয়ে কম বলে দাবি করল কেন্দ্রের সমীক্ষা। সোমবার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের ‘পিরিয়ডিক লেবর ফোর্স সার্ভে’ জানাল, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ বছর এবং তার বেশি বয়সিদের মধ্যে তার হার ছিল ৩.২%। যা ২০১৭ সালে সমীক্ষা চালুর পরে সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) শহরাঞ্চলেও বেকারত্ব কমার ইঙ্গিত দিয়েছে সমীক্ষা (৬.৬%)।
সরকারি মহলের দাবি, অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরেছে বলেই পোক্ত হচ্ছে কাজের বাজার। তবে বিরোধী-সহ একাংশের পাল্টা বক্তব্য, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্ব ৬.১ শতাংশে পৌঁছেছিল। যা ছিল ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। অতিমারির সময়ে সেই হার আরও বাড়ে।
এ দিন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান যদিও বলছে, ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্ব ছিল ৬%। সেটাই ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে নামে যথাক্রমে ৫.৮ শতাংশে ৪.৮ শতাংশে। তার পরে করোনার মধ্যে পরবর্তী দু’বছরে তা দাঁড়িয়েছিল যথাক্রমে ৪.২% এবং ৪.১ শতাংশে। সেই হারই এ বার আরও নেমেছে। গ্রাম এবং শহর, দু’ ক্ষেত্রেই বেকারত্বের হার কমে হয়েছে যথাক্রমে ২.৪% এবং ৫.৪%।
তবে শুধু কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নয়, ভাল মানের কাজ তৈরি করাও যে জরুরি, সেই কথা মনে করাচ্ছে বিভিন্ন মহল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তা না হলে যে বিশাল মানবসম্পদকে দেশের ‘জোর’ বলে মনে করা হয়, তা-ই ‘সঙ্কটে’ বদলে যেতে পারে। ঠিক যে সমস্যা ইদানীং প্রকট হয়েছে চিনে।