প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আম-আদমিকে আরও কম দামে বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিতেই এই বদল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৯৯ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রেই ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জিএসটি নির্দিষ্ট করা আছে। কোনও পণ্যে পাঁচ শতাংশ, কোনও পণ্যে ১৮ শতাংশ, আবার কোনও পণ্যে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসানো আছে। এই ব্যবস্থা আরও সরলীকরণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
২৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় থাকা বেশ কিছু পণ্যকে নামিয়ে আনা হচ্ছে ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায়। এর ফলে আরও সরল হবে সামগ্রিক জিএসটি পরিকাঠামো। পাশাপাশি কর কমানোর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দামও কমবে। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় আছে এসি, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ভিডিয়ো গেম-সহ একাধিক পণ্য। এই সব পণ্যকে ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই দাম কমবে এই পণ্যগুলির।
সংবাদ মাধ্যম সূ্ত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী শনিবারই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে জিএসটি কাউন্সিল। দাম কমতে পারে ওয়াটার হিটার, রং, পারফিউম, ট্র্যাক্টর, গাড়ির যন্ত্রাংশ-সহ একাধিক পণ্যের।
অন্যান্য যে সব পণ্যের দাম কমতে পারে তার মধ্যে আছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, চুল কাটার যন্ত্র, দাড়ি কামানোর কিট, সিমেন্ট এবং মার্বল। দাম কমতে পারে পুট্টি, ভার্নিশ-সহ আরও একাধিক পণ্যের।
যদিও বিলাসবহুল বেশ কিছু সামগ্রীর দাম ২৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতাতেই রাখা হবে বলে ইঙ্গিত মিলছে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। এর মধ্যে থাকছে বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যক্তিগত বিমান, সিগারেট, পানমশলা, তামাকজাত দ্রব্য, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং প্রমোদ তরী।
এই খবর পাওয়ার পর নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ৯৭ শতাংশ পণ্যই আছে ১৮ শতাংশ বা তার নীচের জিএসটি-র আওতায়। প্রধানমন্ত্রী যদি ৯৯ শতাংশ পণ্যকে সেই কাঠামোয় আনতে উদ্যোগ নেন, তা নিঃসন্দেহে ভাল খবর। এর সুফল পাবেন দেশের সাধারণ মানুষ।’’
পুরোপুরি প্রস্তুত না হয়ে জিএসটি লাগু করার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগপতিরা। সেই ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছে সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতেই জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আনতে উদ্যোগ বলে মনে করছে দেশের শিল্পমহল।