—প্রতীকী চিত্র।
খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানো আর শিল্প বৃদ্ধির মাথা তোলা— সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এই প্রত্যাশা পূরণেরই বার্তা দিল। তবে শিল্পের চাকায় গতি এখনও শ্লথ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁদের মতে, সেই গতি বাড়াতে সুদ কমানোর দাওয়াই জরুরি। তখন বাড়বে লগ্নি। চড়বে চাহিদাও। চাঙ্গা হবে উৎপাদন। তার হাত ধরে তৈরি হবে কাজ। যদিও অনেকেই মনে করছেন, চলতি অর্থবর্ষে সম্ভবত সুদ অপরিবর্তিতই রাখবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
এ দিন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছে, মূলত জ্বালানি এবং খাদ্যপণ্যের দাম কমায় মে মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে হয়েছে ৪.২৫%। যা ২৫ মাসে সর্বনিম্ন। এপ্রিলে শিল্প বৃদ্ধির হার ছুঁয়েছে ৪.২%। মার্চের ১.৭ শতাংশের থেকে বেশি। তবে আগের বছরের এপ্রিলের ৬.৭% থেকে বেশ কম। অর্থাৎ শিল্পোৎপাদন এখনও মন্থর। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আর্থিক বৃদ্ধিকে ঠেলে তুলতে হলে এর হারকে আরও চড়তে হবে।
সম্প্রতি আরবিআই বলেছে, মূল্যবৃদ্ধিকে শুধু সর্বোচ্চ ৬% সহনসীমার নীচে নামানো যথেষ্ট নয়। ৪% লক্ষ্যের মধ্যে তাকে বাঁধতে হবে। মে মাসের হার সেই লক্ষ্যেরই কাছাকাছি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নেমেছে ২.৯১ শতাংশে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্ষা নিয়ে উদ্বেগ বহাল। অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে খাদ্যপণ্যে তার প্রভাব দেখা যাবে। তার উপর চালের, ডালের দাম এখনও চড়া। এপ্রিলের শিল্পোৎপাদন বেড়েছে মূলত কল-কারখানা ও খননের হাত ধরে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সুদ কমলে উৎপাদন চড়বে। তাই সেই অপেক্ষায় শিল্পও।