Trade Deals

বাাণিজ্য বাড়াতে বৈঠক জাপান, বাংলাদেশের সঙ্গে

ভারত, জাপান এবং বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসল আগরতলায়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিয়োর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময়ই স্থির হয়, বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল তৈরিতে সহায়তা করবে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:২১
Share:

জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিয়ো। ছবি: রয়টার্স।

বাণিজ্য এবং সংযোগ বাড়াতে ভারত, জাপান এবং বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসল আগরতলায়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিয়োর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময়ই স্থির হয়, বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল তৈরিতে সহায়তা করবে তারা। সেখানে উৎপাদিত পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল ও ভুটানে বেচতে সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন-সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তেও এগিয়ে আসবে। কিশিদার দাবি ছিল, এতে উত্তর-পূর্ব ও বঙ্গোপসাগর এলাকার উন্নতি হবে। তাঁর সফরের পরে বাংলাদেশে ১২৭ কোটি ডলার লগ্নিতে সায় দেয় জাপান।

Advertisement

এই পুরো বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গতকাল থেকে ত্রিপুরায় দু’দিনের বৈঠক আয়োজন করেছিল গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স। সঙ্গে সহায়তা করেছে বিদেশমন্ত্রকও। বৈঠকে ছিলেন ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি সুজ়ুকি, বাংলাদেশের উপ-বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়র আলম ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি। সূত্রের খবর, বৈঠকে স্থির হয়েছে, মূলত তিনটি পরিকাঠামো প্রকল্পে জাপান প্রাথমিক ভাবে লগ্নি করবে। যার মধ্যে আছে মাতারবাড়ী অঞ্চলে নতুন বাণিজ্যিক বন্দর, যার সঙ্গে ত্রিপুরা-সহ ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল সংযুক্ত হবে।

সুজ়ুকির বক্তব্য, এই গোটা প্রকল্প ভারত ও বাংলাদেশ, উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে। গভীর সমুদ্রবন্দর শিল্পাঞ্চল তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যার মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের সংযোগ স্থাপিত হবে। সূত্রের খবর, জাপানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান রেড্ডি। আলম বলেন, এতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে এবং জাপান ছাড়াও অন্যান্য দেশের লগ্নি আসার পথ সুগম হবে।

Advertisement

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বাড়াতে চায় চিন। বেজিংয়ের আগ্রাসন রুখতে ওই এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অন্য পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে ভারত। এই আবহে আগরতলার বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement