ফাইল চিত্র।
বিএসএনএলে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) ঘোষণা হয়েছিল সোমবার রাতে। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যায় ইচ্ছুক কর্মী-আধিকারিকেরা তাতে অংশ নিতে পারেননি। সংস্থা সূত্রের খবর, বুধবার আবেদনের প্রক্রিয়া চালু হতে সাড়া মিলেছে বিস্তর।
বিকেল পর্যন্ত ছ’হাজারেরও বেশি প্রস্তাব জমা পড়েছে। তাতে শামিল খোদ কলকাতা শাখার জিএম (মানবসম্পদ) অমরনাথ ঠাকুরও। সংস্থার কর্মী-আধিকারিকদের খুঁটিনাটি দেখাশোনার ভার যাঁর দফতরের উপর।
যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ভিআরএসে ইচ্ছুকদের নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ, বিএসএনএলের পোর্টালে প্রস্তাব জমার পরেও, চূড়ান্ত ধাপে গিয়ে অনেকে তা আপাতত স্থগিত রাখেন। একাংশের দাবি, এর কারণ প্রস্তাব ফেরানোর সুযোগ মিলবে এক বার। তাই অনেকে সতর্ক, কিছুটা ধন্দেও।
সম্প্রতি বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের ভিআরএস-সহ পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে সায় দেয় কেন্দ্র। এ মাসের গোড়ায় ভিআরএস চালুর কথা জানান বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার। সোমবার রাতে তা ঘোষণা করে দুই সংস্থাই। বিএসএনএল সূত্রের খবর, সারা দেশে সেই ওই আবেদন করার ‘যোগ্য’ কর্মী-আধিকারিকের সংখ্যা ১,০৪,৪৭১ জন। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, ৮০,০০০ প্রস্তাব পাওয়া। তার মধ্যে যাঁরা আগে স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দেবেন, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে সূত্রের দাবি।
অমরনাথবাবুও যে সেই প্রস্তাব দিয়েছেন, তা স্বীকার করে তিনি নিজেই এ দিন সন্ধ্যায় জানান, অবসরের বয়স ৬০ বছরের হিসেবে তাঁর চাকরি আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। বলেন, ‘‘এটা ভাল সুযোগ। ভিআরএস নিয়ে সংস্থাকে বাঁচাতে চাই। যত বেশি কর্মী তা নেবেন, বেতন খাতে তখন খরচ কমবে।’’ তবে সংস্থা সূত্রের খবর, কিছু ক্ষেত্রে বেতনের অনিশ্চয়তাও এই ইচ্ছের জন্য দায়ী। এখনও অক্টোবরের বেতন হয়নি। এ নিয়ে মাস পয়লায় বেতন হল না চার বার। অনেকেরই ঋণ আছে। ইএমআই দেওয়া নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে ভিআরএসে একলপ্তে কিছু টাকা মেলার নিশ্চয়তাকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন অনেকে।
ইউনিয়নগুলির একাংশের অবশ্য দাবি, অনেকের ক্ষেত্রেই বাকি সময়ে চাকরির তুলনায় ভিআরএস বাবদ প্রাপ্তি যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বেতন সংশোধনের প্রক্রিয়াও বাকি পড়েছে। বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন মনে করাচ্ছে, ভবিষ্যতে বেতন সংশোধন হলেও ভিআরএস নিয়ে নিলে তো আর সেই সুবিধা মিলবে না।