প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির ঝিমুনি ও লকডাউনে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় সংস্থাগুলি যাতে বিদেশি, বিশেষত চিনের সংস্থাগুলির অধিগ্রহণের লক্ষ্য না-হয়, তা নিশ্চিত করতে এপ্রিলে তড়িঘড়ি প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নীতি বদল করেছিল কেন্দ্র। তার পরে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে সে দেশের পণ্য বয়কটের ডাক জোরালো হয়েছে দেশে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় নতুন বিধির আওতায় ৪০-৫০টি চিনা সংস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির জন্য আবেদন জানিয়েছে। যা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।
নয়া নিয়মে, যে সব দেশের স্থলসীমান্ত ভারতের সঙ্গে যুক্ত, সেখানকার কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিকে এ দেশের সংস্থায় লগ্নি করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। এমন দেশ হল, চিন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার, ভুটান, নেপাল ও আফগানিস্তান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে মূলত চিনই কেন্দ্রের লক্ষ্য। যে দেশের বিভিন্ন সংস্থার লগ্নি রয়েছে ওলা, জ়োম্যাটো-সহ ভারতীয় স্টার্ট-আপে। দখলে গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে মোবাইলের বাজারের অধিকাংশই।
সরকারি সূত্রে খবর, ভারতে চিনা লগ্নিকারীদের বিনিয়োগের আর্জি খতিয়ে দেখতে চিনে ভারতীয় দূতাবাস-সহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগ কথা চালাচ্ছে। এক সরকারি কর্তার কথায়, বহু ছাড়পত্র লাগবে। বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতির কথা ভেবে আরও সতর্ক হয়েই এগোতে হবে কেন্দ্রকে। তবে কোন কোন চিনা সংস্থা লগ্নির আর্জি জানিয়েছে, তা বলেননি তিনি।
চিনা পণ্য বর্জনের দাবিতে দেশ উত্তাল হলেও, শিল্পের একাংশ বলছে, ভারতে পণ্য তৈরির বিকল্প ব্যবস্থা না-করে আমদানি রুখলে ভুগবে দেশীয় সংস্থাই। ভাঙবে জোগান-শৃঙ্খল। তবে আজ জেএসডব্লিউ কর্তা সজ্জন জিন্দল বলেন, চিন থেকে আমদানি কমাতে সমস্ত শিল্পকর্তাকে এক জোটে কাজ করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘...পরিচিত শিল্পপতি ও বন্ধুদের অনেকেই ব্যবসা মার খাওয়ার চিন্তা করছেন। দেশে জোগান-ব্যবস্থা তৈরি না-করে চিনে ভরসার আত্মতুষ্টিই এ জন্য দায়ী।’’