—প্রতীকী চিত্র।
গত মে মাসে ২০০০ টাকার প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময়ে যত নোট বাজারে ছিল, তার মধ্যে বেশির ভাগই ফেরত এসেছে বলে ফের জানালেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। শুক্রবার তিনি বলেন, আর ১০,০০০ কোটি টাকার দু’হাজারের নোট বাজারে রয়েছে। সেগুলিও ফেরত আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, আরবিআই প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার সময়ে বাজারে ৩.৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি দু’হাজারের নোট ছিল।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের কথা ঘোষণার পরে ২০০০ টাকার নোট এনেছিল মোদী সরকার। দাবি ছিল, এতে কালো টাকা রোখা সহজ হবে। তা ছাড়া যত নোট বাতিল হয়েছিল, সেই শূন্য স্থান পূরণ করাও সুবিধাজনক হবে। বিরোধী-সহ নানা মহলের দাবি এর কোনওটাই হয়নি। উল্টে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। তার পরে ২০১৮-১৯ সাল থেকে এই নোট ছাপানো বন্ধ হয়। আর এ বছর ১৯ মে হঠাৎই তা তোলার কথা জানানো হয়। বলা হয়, নোট বৈধ থাকবে। তবে তা ব্যাঙ্ক-ডাকঘর অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বা বদলে নিতে হবে।
প্রথমে সে জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও, পরে তা ৭ অক্টোবর করেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এখন নোট জমা দেওয়া যাচ্ছে আরবিআই-এর ১৯টি শাখায়। শক্তিকান্ত অবশ্য মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, ৮৭% নোট ফেরত এসেছে তাঁদের কাছে। এ বার বললেন, আর মাত্র ১০,০০০ কোটি টাকার নোট রয়েছে বাজারে।