রাধাম্মার সঙ্গে স্বামী রামাস্বামী
“প্রতিদিন বিকেল হয়। আমি আমার স্বামীর পাশে বসে থাকি এই আশায় যে এই একদিন তিনি জেগে উঠবেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু সময় চলে যাচ্ছে। তিনি এখনও অসাড় অবস্থায় বিছানায় শুয়ে রয়েছেন।” কথাগুলি বলতে বলতে কেঁদে উঠলেন রাধাম্মা।
কয়েকদিন আগেই তাঁর স্বামী রামাস্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসার আগেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রামাস্বামী
চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষার পরে জানান যে রামাস্বামী অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। অবিলম্বে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন যত্নের। এবং এটাই তাঁকে বাঁচানোর এক মাত্র উপায়।
চিকিৎসকদের মুখে এই কথা শুনে ভেঙে পড়েছিলেন রাধাম্মা। তিনি কল্পনাও করতে পারেননি যে এমন এক বিপদ এই ভাবে তাঁদের জীবনে অন্ধকার হয়ে নেমে আসবে।
রাধাম্মার সঙ্গে স্বামী রামাস্বামী
বর্তমানে রামাস্বামীর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং নিউরো পুনরুদ্ধারের জন্য ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি তাঁকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা একটি স্টেজ-ওয়ান অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করছেন।
চিকিৎসার খরচ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগাড় কোথা থেকে হবে, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন রাধম্মা ও তাঁর পরিবার। এর আগে হাসপাতালে ভর্তির সময় এবং চিকিৎসা চলাকালীন তাঁরা একাধিক ঋণ নিয়েছিল। সমস্ত সম্পদ ও অর্থ নিঃশেষ করে তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই অঙ্ক বর্তমানে তাঁর কাছে বোঝা।
রামাস্বামী তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন নিজের পরিবারকে একটি ভাল জীবন উপহার দেওয়ার। তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু যে জীবন তিনি চেয়েছিলেন তা ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে পড়ছে।
এই অবস্থায় রাধাম্মা ও তাঁর পরিবার সাহায্য চাইছেন আপনাদের কাছে। এক মাত্র আপনাদের সকলের যৌথ সাহায্যই পারে রামাস্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিতে।
এই প্রতিবেদনটি ‘কেটো’র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।