প্রতীকী চিত্র
মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হৃদপিণ্ড। কিন্তু এই হৃদরোগেই সারা বিশ্বে মৃত্যু হয় সবচেয়ে বেশি। হৃদরোগের মূল ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। মূলত উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, দেহের অতিরিক্ত ওজন— এই সব কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, কিছু ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
হৃদরোগের সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট চিকিৎসক ঋত্বিক ঘোষাল বলেন, “হৃদপিণ্ডের কোনও সমস্যা হলে মূলত চারটি কারণ থেকে তা বোঝা যায়। তার মধ্যে রয়েছে হাঁটাচলা বা কাজ করতে গেলে হাঁপিয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা করা, আবার কখনও কখনও চোখে অন্ধকার দেখা। শরীরে এই রকম উপসর্গ দেখা গেলে চার ধরনের হৃদপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যার আশঙ্কা থাকে। যেমন, ‘করোনারি আর্টারি ডিজ়িজ়’, ‘ভ্যালবুলার ডিজ়িজ়’, ‘কারেন্ট সিস্টেম অ্যাবনরম্যালিটি’, হৃদপিণ্ডের পেশীর দুর্বলতা।”
বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
চিকিৎসক ঘোষাল আরও বলেছেন, “হাঁটতে চলতে কষ্ট হলে বা শ্বাসকষ্টের মতো অসুবিধা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। হৃদরোগের চিকিৎসায় এখন অনেক অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং ব্লকেজ়ের সমস্যা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে আধুনিক পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্তও নিতে হবে। এ ছাড়া, এখন ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্টের মতো ব্যবস্থাও হয়েছে।”
তাই ভয় না পেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ করুন এবং রোগমুক্ত থাকুন।
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।