ভিদাস্লিমের নতুন প্যাক
আট থেকে আশি সকলেই এখন শরীর সম্পর্কে বেশ সচেতন। তাই ওজন কমানোর লক্ষ্যে সর্ব ক্ষণই চলতে থাকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, সুস্থ সবল জীবনযাপনের জন্য শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওজন কমাতে কী ধরনের খাবার খাবেন বা কী কী ব্যায়াম করবেন, এই নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের ভাবনার শেষ থাকে না। এ বার সেই ভাবনা লাঘব করতে বাজারে এসে গেল ‘ভিদাস্লিম’ প্রোটিন পাউডারের নতুন প্যাক। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ভিদাস্লিম প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করে ১৬ সপ্তাহে ১৪ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।
‘ভিদাস্লিম’-এর এই নতুন প্যাকে রয়েছে:
প্রোটিন মিশ্রণ: হুয়ে, সয়া এবং কেসিন প্রোটিনের এই মিশ্রণ শুধুমাত্র শক্তি ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রেই নয়, সুষম প্রোটিন গ্রহণ এবং তৃপ্তি প্রদানেও যথেষ্ট অবদান রাখে।
ডায়েটারি ফাইবার: পলিডেক্সট্রোজ ফাইবার তৃপ্তিদান, দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
গ্রিন টি-র নির্যাস: গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেকিনগুলি স্থূলতারোধী বলে পরিচিত, যা ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
এল-কার্নিটাইন: এল-কার্নিটাইন অক্সিডেশনের জন্য ফ্যাটি অ্যাসিড পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।
হোয়াইট কিডনি বিন নির্যাস: সাদা কিডনি বিনের নির্যাস শরীরের বিএমআই ঠিক রাখার পাশাপাশি চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
সম্প্রতি অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার এক নামী রেস্তোরাঁয় ‘ভিদাস্লিম’-এর নতুন প্যাক উদ্বোধনের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা ছাড়াও সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিল সান্ধ্য আসর। ভিদাস্লিমের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। এ ছাড়াও ছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট জনেরা। অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার অনলাইন। আনন্দবাজার অনলাইনের সহযোগিতায় ‘ভিদাস্লিম’-এর উদ্যোগে মুক্তি পায় ‘ভিদাস্লিম ই-বুক’ এবং আনন্দবাজার অনলাইনের পাতায় ভিদাস্লিমের একটি মাইক্রোসাইট ‘অদ্বিতীয়া’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক নীলাঞ্জন সেনগুপ্ত আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ওবেসিটি এখন একটা বড় সমস্যা। বিশেষত অনিয়মিত জীবনধারার কারণে এর প্রাদুর্ভাব হয়। এ ছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি গ্রহণ, ফাস্ট ফুড খাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব ইত্যাদি কারণে ওবেসিটির মতো সমস্যা বাড়ছে।’’
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের কথায়, “শুধুমাত্র অনিয়মিত জীবনধারাই ওজন বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, মানসিক অবসাদ সংক্রান্ত কারণেও ওজন বেড়ে যায়। পরিমিত ঘুম ওজন হ্রাসের একটি বড় দিক। এ ছাড়াও দরকার প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ফাইবার। আর এখানেই ‘ভিদাস্লিম’ একটি বড় ভূমিকা পালন করে। কারণ ভিদাস্লিমের মধ্যে এই সব কিছু একেবারে সঠিক পরিমাণে আছে।’’
পুষ্টিবিদ চিকিৎসক অরিত্র খান আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “আমার কাছে অনেক ধরনের রোগী আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই মেটাবলিক ইতিহাস থাকে, যেমন ডায়াবেটিস, ব্লাড সুগার বা ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা। সকলের ক্ষেত্রেই যে অনিয়মিত জীবনধারার কারণে ওজন বৃদ্ধি হয়, তা নয়। ওবেসিটির ক্ষেত্রে জিন একটা বড় ভূমিকা পালন করে।’’
চিকিৎসক ডিপি মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “ভিদাস্লিম প্রকৃত অর্থেই একটি ফুড সাপ্লিমেন্ট। সাপ্লিমেন্ট করা মানে প্রতিস্থাপন করা, আর ভিদাস্লিম সেটা যথাযথ ভাবেই করছে।’’
চিকিৎসক এ কে পালের মতে, “আমি এখনও পর্যন্ত ১০-১২ জন রোগীকে এই ভিদাস্লিম প্রোটিন পাউডার দিয়েছি। প্রত্যেকেরই মাসে ৪-৫ কেজি ওজন কমেছে। নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া এবং রাতে অন্য কিছু খাওয়ার পরিবর্তে শুধু ভিদাস্লিম খেলে তবেই ওজন কমবে।’’
ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান, কার্ডিয়োলজিস্ট সন্দীপ রুংটা বলেন, “আমার কাছে এমন অনেকেই আসেন, যাঁরা ওজন বৃদ্ধির কারণে জীবনে বহু সমস্যার সম্মুখীন হন। তাঁদের জন্য রয়েছে সিগনেচুরা সংস্থার ভিদাস্লিম। এটি কফি ও ভ্যানিলা দু’রকম স্বাদের হয়। গ্রিন টি এবং কফি থাকার কারণে বিশেষ ভাবে মেটাবলিজ়ম বৃদ্ধিতে সহায়ক। এ ছাড়াও যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে এটি।’’
পুষ্টিবিদ সৌমেন্দু ঘোষের কথায়, “আমি এক বছরের উপরে এই ভিদাস্লিম প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করছি। এটির গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে খুব বেশি। এবং এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও আছে। এ ছাড়াও ভিদাস্লিমের কফি ফ্লেভার অনেকেই খুব পছন্দ করেন।’’
সিগনেচুরা গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি বৈদ্যনাথন বলেন, “ওজন কমানোর জন্য বাজারে অনেক কিছু পাওয়া যায়। তবে আমার মনে হয়, ভিদাস্লিম সাধারণ, নিরাপদ এবং সেরা একটি প্রোডাক্ট। এটি ব্যবহারের পর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। ভিদাস্লিম খুব সহজে ব্যবহার করে অবশ্যই ওজন কমানো যায়।’’