SNU Book Fair

কলকাতা বইমেলার ‘ডিজিটাল কভারেজে’ নজর কাড়লেন সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার একমাত্র ডিজিটাল সহযোগী ছিল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ দিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডের কভারেজে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পেশাদারিত্ব এবং অধ্যবসায় বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২১
Share:

কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা

ডিজিটাল মাধ্যমে কলকাতা বইমেলার সম্প্রচারে তাক লাগালেন কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণজ্ঞাপন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। ৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার একমাত্র ডিজিটাল সহযোগী ছিল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ দিন ধরে চলা এই কর্মকাণ্ডের কভারেজে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের পেশাদারিত্ব এবং অধ্যবসায় বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে।

বইমেলাকে ডিজিটাল মাধ্যমে মেলে ধরার এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শ’দেড়েক ছাত্রছাত্রী। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাঁরা প্রতি দিন বইমেলার সমস্ত খবরাখবর বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। ফলে বইমেলায় রোজ কী ঘটছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে তা জেনে নেওয়া সহজ হয়েছে।

সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া স্কুলের ডিন মিনাল পারিক বলেন, “কোভিডের পরের বইমেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ডিজিটাল কভারেজের দায়িত্ব নিয়েছিল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর থেকে এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই কলকাতা বইমেলার এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল সহযোগী হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ পড়ুয়া এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একেবারে পেশাদারি জগতের ধাঁচে এখানে কাজ চলেছে। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ৩০টি করে ডিজিটাল প্রতিবেদন পরিবেশন করেছেন।”

৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার একমাত্র ডিজিটাল সহযোগী ছিল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়।

দুই সপ্তাহ ধরে বইমেলার এসবিআই অডিটোরিয়াম ও প্রেস কর্নারের সব অনুষ্ঠানের লাইভ কভারেজ ছাড়াও বইমেলার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি খবরের প্যাকেজ অনলাইন দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এসএনইউ-এর ডিজিটাল টিম। লাইভ অনুষ্ঠানের সম্প্রচার থেকে প্রতিবেদন সম্পাদনার কাজ, সবটার কভারেজ থেকে প্যাকেজ এডিটিং– বইমেলা প্রাঙ্গণে তৈরি কন্ট্রোল রুম থেকে সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। রিপোর্টিং এবং ক্যামেরার দায়িত্বেও ছিলেন এই ছাত্রছাত্রীরাই। বইমেলা প্রাঙ্গণের অলিগলি ঘুরে তাঁরা বার করে এনেছেন নানা খবর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা বইমেলা আর সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় এখন অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এই কর্মকাণ্ডকে সফল করতে ১৮ জানুয়ারি মেলা শুরুর আগে থেকে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কঠোর পরিশ্রম করেছে। যার ফলে বইমেলার ডিজিটাল উপস্থিতি অনেকটাই ভাল হয়েছে।”

বই উৎসবের সম্পূর্ণ অনলাইন কভারেজের দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে বইমেলার এসবিআই অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিকে সম্মানিত করা হয়।


এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন