IQ City Foundation

চিকিৎসা বিজ্ঞানে কেরিয়ার গড়ার কান্ডারি ‘আই কিউ সিটি ফাউন্ডেশন’

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষটি এই মেডিক্যাল কলেজের জন্য খুবই সাফল্যে ভরা একটি বছর। কারণ, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন শুধুমাত্র বার্ষিক আসন সংখ্যাই বৃদ্ধি করেনি, বরং এমবিবিএস কোর্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখারও অনুমোদন দিয়েছে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৮
Share:

‘আই কিউ সিটি ফাউন্ডেশন’

পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা এবং বৃহত্তম মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে একটি ‘আই কিউ সিটি’, যার যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। ‘আই কিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ’ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই পাঠ্যক্রম তৈরি করে, যা তাদের ক্রমাগত পরিবর্তনশীল চিকিৎসাশাস্ত্রে এগিয়ে রাখে।

এমবিবিএস কোর্সে বার্ষিক ১৫০ থেকে ২০০টি আসন বৃদ্ধির জন্য অনুমতিপত্র পেয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজ। ২০২১ - ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্লিনিক্যাল এবং ১২টি ভিন্ন বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর এমডি/এমএস কোর্স শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১৯টি প্রাক/প্যারা/ক্লিনিকাল বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠানের ৫৪টি আসন রয়েছে। ‘আই কিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ’, হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ ও ফার্মেসি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীর সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি।

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষটি এই মেডিক্যাল কলেজের জন্য খুবই সাফল্যে ভরা একটি বছর। কারণ, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন শুধুমাত্র বার্ষিক আসন সংখ্যাই বৃদ্ধি করেনি, বরং এমবিবিএস কোর্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখারও অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়াও এম ডি-কমিউনিটি মেডিসিন এবং এম ডি-প্যাথলজি কোর্সেও আই কিউ সিটি স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানে পাঁচটি বিষয়ে স্নাতক কোর্স শুরু হয়েছে, যার মধ্যে আছে ক্রিটিকাল কেয়ার, অপারেশন থিয়েটার, পার্ফ্যুশন টেকনোলজি এবং হাসপাতাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এছাড়াও চারটি স্নাতকোত্তর কোর্স যেমন, ‘মাইক্রোবায়োলজি’, ‘বায়োকেমিস্ট্রি’, ‘অ্যাপ্লায়েড নিউট্রিশন’ এবং ‘হাসপাতাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ কোর্সও শুরু হয়েছে।

এখানে ৮ টি ডিপ্লোমা প্যারামেডিক্যাল কোর্স যেমন, ‘ক্যাথ ল্যাব টেকনিশিয়ান’, ‘ক্রিটিকাল কেয়ার টেকনোলজি’, ‘ডায়ালিসিস’, ‘মেডিকেল ল্যাবরেটরি’, ‘অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি’, ‘অটোমেট্রি’, ‘পার্ফ্যুশন’ এবং ‘রেডিওলোজি’ শুরু করা হয়েছে। এই ক্যাম্পাসের মধ্যেই আরও দু'টি কলেজ, ‘আই কিউ সিটি ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং সায়েন্সেস’ এবং ‘আই কিউ সিটি ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস’ রয়েছে।

এ ছাড়াও এই হাসপাতালে সেরা ২৪ ঘন্টা জরুরী সহায়তা সহ ‘অত্যাধুনিক ডে কেয়ার’-এর সুবিধা এবং আধুনিক মানসম্পন্ন সমস্ত ব্যবস্থাপনা রয়েছে। ‘আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’-এ রয়েছে দু’টি ‘কার্ডিয়াক সার্জারি থিয়েটার’, ‘কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাব’, ‘নিউরোসার্জারি ওটি’, ‘জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট ওটি’, ‘ডায়ালাইসিস ইউনিট’ এবং ‘এমআরআই’-এর সুবিধা। এ ছাড়াও রয়েছে ১২৮ ‘স্লাইস স্পাইরাল সিটি স্ক্যানার’, ‘হাই-রেজোলিউশন কালার ডপলার’ সহ এগারোটি অপারেশন থিয়েটার।

এই পরিষেবাগুলি ছাড়াও‘আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’-এ রয়েছে অত্যাধুনিক বার্ন ইউনিট, দুর্ঘটনা ও ট্রমা সেন্টার, সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি (এনএবিএল অ্যাক্রিডিয়েশনের জন্য প্রযোজ্য), ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং ফার্মেসি, যা ২৪ ঘন্টা পরিষেবা প্রদান করে।

‘আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’ রোগীদের সঠিক পরিষেবা প্রদানে সর্বদা এগিয়ে থাকে। এনএবিএইচ (NABH) স্বীকৃত এবং ১২০০ শয্যা-বিশিষ্ট আই কিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল বিশ্বমানের এক প্রতিষ্ঠান, যেখানে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণের একটি অংশ হিসাবে জেলা সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রামে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানোর জন্য এই প্রতিষ্ঠান তিনটি গ্রাম এবং তিনটি ওয়ার্ডকে দত্তক নিয়েছে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আই কিউ সিটি ফাউন্ডেশন’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন