এমব্লেজ ২০২৩
বিতর্ক থেকে বিনোদন, খেলা থেকে আবৃত্তি— সৃজনশীলতা এবং প্রতিভার এক অভাবনীয় মিশেলের সাক্ষী থাকল গোটা কলকাতা। নেপথ্যে হেরিটেজ কলেজ। তাদের ভাবনাতেই এই বছর অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল আন্ত কলেজ প্রতিযোগিতা— এমব্লেজ ২০২৩। ফ্যাশন শো থেকে খেলা, বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট, ফটোগ্রাফি, বিতর্ক, নাটক সহ বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন ভাবনায় অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের ২৮টিরও বেশি কলেজের পড়ুয়ারা। ২মে থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ৬মে শেষ হয় প্রতিযোগিতা। ওই দিনই ঘোষিত হয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল। প্রতিযোগিতার নম্বরের ভিত্তিতে শীর্ষস্থানাধিকারি হল দ্য হেরিটেজ কলেজ। যেহেতু তারা নিজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক, তাই তারা বিজয়ীর শিরোপা তুলে দিল শ্রী শিক্ষায়তন কলেজকে।
পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়াতে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দ্য হেরিটেজ কলেজ। যদিও এই বছরটি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ প্রথমবারের মতো কলকাতার দ্য হেরিটেজ কলেজ রাজ্যের ২৮টিরও বেশি কলেজকে নিয়ে আয়োজন করল ‘এমব্লেজ ২০২৩’। স্বভাবতই গোটা অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা ঘিরে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
এমব্লেজ ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের প্রতিযোগিতা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং প্রতিভার বিকাশে সাহায্য করবে। আর সে কারণেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই এমন অনুষ্ঠানে অবশ্যই অংশ নেওয়া উচিত।”
শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
সুজয়প্রসাদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রিন্সিপাল বাসব চৌধুরী, হেরিটেজ গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশনের সিইও পিকে অগ্রবাল, হেরিটেজ বিজনেস স্কুলের পরিচালক কে কে চৌধুরী, দ্য হেরিটেজ কলেজের টিচার ইন চার্জ অধ্যাপক অমিতাভ ঘোষ এবং হেরিটেজ একাডেমির মিডিয়া সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান মধুপা বক্সি।
প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। তবে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ফ্যাশন শো। খেলা হোক বা বিতর্ক, ফ্যাশ শো হোক বা মিউজিক ইভেন্ট, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন খ্যাতনামী ব্যক্তিত্বরা। যেমন, ফ্যাশন শো-তে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল এবং মিসেস পারসনা অব ইন্ডিয়া ২০২১ লাবণী রায়। রাজনন্দিনী পাল দ্য হেরিটেজ কলজেরই প্রাক্তনী। অনুষ্ঠানে বিচারকের ভূমিকায় এসে তিনি আপ্লুত। জানান, “যেখানে পড়াশুনা করেছি, সেই কলেজেই বিচারকের ভূমিকায় আসতে পারা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।” অন্য দিকে নাট্য বিভাগে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন রব দে। মিউজিক ইভেন্টে বিচারকের ভূমিকা পালন করেছেন ক্যাকটাসের লিড গিটারিস্ট বৈদূর্য চৌধুরী।
রাজনন্দিনী পাল
এই মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল —
এই বছরের মতো শেষ এমব্লেজ। তবে যে ভাবে এই বছর অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতাগুলিতে সাড়া মিলেছে, তাতে আগামী বছর আরও কলেজ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বলে আশাবাদী দ্য হেরিটেজ কলেজ। সেই সঙ্গে আগামী বছরের জন্য অপেক্ষায় থাকছে শিক্ষার্থীরাও।
এই প্রতিবেদনটি ‘হেরিটেজ কলেজ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।