One-Rupee Mango

টেকনো ইন্ডিয়ার সম্ভাবনাময় উদ্যোগ, লক্ষ্য ১০০ কোটি মানুষের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণ

এই রপ্তানিকারকেরা টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আর্ন অ্যান্ড লার্ন’ প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক চাষির পরিবার থেকে এক জন শিশুর উচ্চশিক্ষার জন্যে তহবিল প্রদান করবেন।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ১২:১৪
Share:

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রপের নতুন উদ্যোগ ‘ওয়ান রুপি ম্যাঙ্গো’

সাধারণ মানুষের উন্নতিকল্পে ফের নতুন পদক্ষেপ করল ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ।’ সম্প্রতি প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যান অধ্যাপক গৌতম রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে, ১০০ কোটি মানুষের ক্ষমতায়ন ও আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতের দারিদ্র্য নির্মূল করার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

অধ্যাপক রায়চৌধুরী গত ৩৯ বছরে ১০ লক্ষ মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলেছেন। এ ছাড়াও উন্নত কৃষি ও শিক্ষার মাধ্যমে গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলিরও উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এই উদ্যোগের অধীনে ২০ লক্ষ গ্রামবাসীকে এক টাকা মূল্যে ৪০টি রপ্তানিযোগ্য আম গাছের চাষ শেখানো হবে। এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন ১,০০০ আম রপ্তানিকারক, যাঁরা আগামী পাঁচ বছর পরে ওই আম কিনবেন।

এই রপ্তানিকারকেরা টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আর্ন অ্যান্ড লার্ন’ প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক চাষির পরিবার থেকে এক জন শিশুর উচ্চশিক্ষার জন্যে তহবিল প্রদান করবেন। এর পাশাপাশি স্নাতকরাও চাকরি পাবেন, অনলাইনে পারিবারিক খামার পরিচালনা করতে পারবেন এবং তাদের গ্রামে পাঁচ জন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশুকেও সাহায্য করবেন। ফলে এই ক্ষমতায়নের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারম্যান অধ্যাপক গৌতম রায়চৌধুরী

অধ্যাপক রায়চৌধুরীর ভাবনা অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে ছাদ, অনাবাদী জমি, রাস্তার পাশের খাল, নদীর ধারে এবং জলাভূমিতে এক লক্ষ কোটি আম গাছ রোপণ করা হবে। যার মাধ্যমে ‘ওয়ান রুপি ম্যাঙ্গো’ অর্থনীতি নামে পরিচিত এই উদ্যোগটি এক নতুন সবুজ বিপ্লব গড়ে তুলতে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করবে। পাশাপাশি এটি টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কার্বন ক্রেডিট উন্নত করবে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাবে।

টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট এগ্রিকালচার, বায়োটেকনোলজি এবং খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগগুলির মাধ্যমে এআই-ভিত্তিক সরঞ্জাম এবং কৃষি ড্রোন-সহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ এবং উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবে।

অধ্যাপক গৌতম রায়চৌধুরী বলেন, “এই পরিকল্পনাটি আমাদের বিশ্বব্যাপী ছাদ, ক্যাম্পাস এবং প্রধান বাড়িগুলিতে বৃহৎ ভাবে আম প্রকল্প চালু করতে সক্ষম করবে। এ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নির্মূল করতে, বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি করতে এবং আত্মনির্ভরশীল হতেও সাহায্য করবে।”

এই অনন্য উদ্যোগ পদ্ধতিটি ভারতে দারিদ্র্য নির্মূল করতে, শিক্ষা এবং কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন উদ্যোগগুলিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।

‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’ সম্পর্কে

‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’ পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রশংসিত শিক্ষামূলক একটি গ্রুপ, যা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান এবং ব্যক্তি ক্ষমতায়নে নিবেদিত। গ্রুপটি উদ্ভাবনী গবেষণা এবং স্থায়ী উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন