Astrolgy

দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রাধান্য দিলে বিচ্ছেদ বাড়ে, আলোচনায় শ্রী মণি ভাস্কর

জীবনসঙ্গীর মতো এত প্রগাঢ় নিবিড় একটি সম্পর্কে উদাসীনতা একে অপরের মধ্যে অলঙ্ঘ্য দূরত্ব নির্মাণ করে।

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সম্পর্কে জটিলতা বৃদ্ধি বা বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা কেন বাড়ছে, সে বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে গত পর্বে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছিলাম....

Advertisement

পরিবারের অসম্পৃক্ততা

বিবাহ কেবল দুটো মানুষকে কাছাকাছি আনে না, দুটো পরিবারকেও কাছাকাছি নিয়ে আসে। সেখানে যখন বিরোধ দেখা দেয়, যে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের সম্পৃক্ততা থাকে না, সেই সম্পর্কের স্থায়ীত্ব অতি সীমিত।

Advertisement

জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ভুল

বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রপাত্রী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের পছন্দেই হোক অথবা দুই পরিবারের অভিভাবকদের পছন্দে জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ভুল হলে, বিবাহিত জীবনে তার মাসুল দিতেই হয়। কখনও কখনও একে অপরের জন্য ভুল জীবনসঙ্গী নির্বাচনই সমস্যা সঙ্কুল বিবাহ জীবনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সমঝোতার অভাব

আমরা যখন কোনও আবেগঘন সম্পর্কে জড়াই, তখন সঙ্গীর ভালো গুণগুলোই কেবল আমাদের চোখে ধরা দেয়, খারাপ গুণগুলো আমরা দেখেও না দেখার অজ্ঞানতার মধ্যে থাকি। কিন্তু বিয়ের পর ছোট ছোট দোষত্রুটিও আমাদের চোখে বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বামী কাজে ব্যস্ত, স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী কিছুই মনে থাকে না। অন্যদিকে স্ত্রী হয়তো কর্মরতা, অফিসে দীর্ঘক্ষণ কাজ চলছে, এদিকে বাড়িতেও হয়তো অতিথি এসেছেন, তিনি সময়ে পৌঁছতে পারলেন না। আমরা কিন্তু চাইলেই এই ছোট-খাটো ত্রুটি এড়িয়ে যেতে পারি, কিন্তু বিয়ের পর এই সমস্যাগুলি প্রকট আকার ধারণ করে। অসংখ্য বার ঝগড়ার পরেও দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আমরা টিকিয়ে রাখতে চাই। অথচ সামান্য ভুলের জন্য কেবলমাত্র সমঝোতার অভাবে একটি বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলি অতি সহজেই।

উদাসীন মনোভাব

একে অপরের প্রতি উদাসীন মনোভাব পোষণ করলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব দেখা দেয়। জীবনসঙ্গীর মতো এত প্রগাঢ় নিবিড় একটি সম্পর্কে উদাসীনতা একে অপরের মধ্যে অলঙ্ঘ্য দূরত্ব নির্মাণ করে।

সন্দেহপ্রবণতা

সন্দেহপ্রবণতা দাম্পত্য জীবনের আরেক অশান্তির নাম। এটি ঘুণের মত সম্পর্ককে অন্তঃসারশূন্য করে ফেলে। কখনও কখনও, সন্দেহপ্রবণতা এমনই এক ব্যাধি, যার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকে না।

অন্যের সাথে তুলনা

প্রতিটা মানুষই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তা সত্ত্বেও আমরা অনেক সময় অন্যদের সঙ্গে নিজের বা নিজের জীবনসঙ্গীর তুলনা করে থাকি। আর অমিল দেখতে পেলেই শুরু হয় মন কষাকষি।

তৃতীয় ব্যক্তির প্রাধান্য

দাম্পত্য জীবনের সমস্যার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির মতামত বা ভূমিকাকে প্রাধান্য দিলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বাড়ে। সঙ্গীর প্রতি অসন্তোষ থাকতেই পারে। মনোমালিন্য হতেই পারে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তৃতীয় ব্যক্তিকে টেনে আনলে সমস্যা বাড়ে।

এর পাশাপাশি আমাদের স্বভাব, অভ্যাস, বুদ্ধি-চিন্তন, জন্মছক এবং বাস্তুর ভূমিকা তো রয়েইছে। জন্মছক ও বাস্তু কিভাবে আমাদের বিবাহ জীবনে সমস্যা তৈরি করে, আজকের পর্বে সে বিষয়ে আলোচনা করবো। সম্পর্কে জটিলতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের নেপথ্যে সংখ্যার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে.....

যাদের জন্মতারিখ ইংরেজি মাসের ৪, ১৩, ২২ বা ৩১ অথবা যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করলে যোগফল ৪ হয়, যেমন ১ জানুয়ারি, ২০০০ সাল (০১.০১.২০০০), {(০+১)+(০+১)+(২+০+০+০)} = ৪, আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এদের ক্ষেত্রে সম্পর্কে জটিলতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩০% (যদিও এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির জন্মছকও অবশ্যই দেখতে হবে)

যাদের জন্মতারিখ ইংরেজি মাসের ৮, ১৭, ২৬ অথবা যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করলে যোগফল ৮ হয়, যেমন ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সাল (০৮.১২.১৯৯৫), {(০+৮)+(১+২)+(১+৯+৯+৫)} = ৩৫ = (৩+৫) = ৮, তাদের ক্ষেত্রে সম্পর্কে জটিলতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩০% (যদিও এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির জন্মছকও অবশ্যই দেখতে হবে)

যাদের জন্মতারিখ ইংরেজি মাসের ৯, ১৮, ২৭ অথবা যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করলে যোগফল ৯ হয়, যেমন ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সাল (০৯.০২.১৯৯৬), {(০+৯)+(০+২)+(১+৯+৯+৬)} = ৩৬ = (৩+৬) = ৯, তাদের ক্ষেত্রে সম্পর্কে জটিলতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩০% (যদিও এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির জন্মছকও অবশ্যই দেখতে হবে)

যাদের জন্মতারিখ ইংরেজি মাসের ৩, ১২, ২১ বা ৩০ অথবা যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করলে যোগফল ৩ হয়, যেমন ২২ মার্চ, ১৯৯৪ সাল (২২.০৩.১৯৯৪), {(২+২)+(০+৩)+(১+৯+৯+৪)} = ৩০ = (৩+০) = ৩, তাদের ক্ষেত্রে সম্পর্কে জটিলতা বা বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩০% (যদিও এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির জন্মছকও অবশ্যই দেখতে হবে)

দেখা যায়, এই বিশেষ বিশেষ তারিখের জাতক/জাতিকাদের জীবনে এমন জীবনসঙ্গী আসেন, যাদের সঙ্গে এক ছাদের নীচে সহাবস্থান অনেকক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে। এতো গেল সংখ্যা, এছাড়াও আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যাদের মিথুন, সিংহ, কন্যা, ধনু বা মীন লগ্ন, তাদের জীবনেও বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ২০%। এছাড়াও জন্মছকে ষষ্ঠ বা অষ্টম স্থানের গ্রহদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দশা চলাকালীন সময়েও বিচ্ছেদ হতে পারে। আবার অষ্টমপতির দশায় যারা বিয়ে করেন, বা হয়তো দেখা গেল সরাসরি অষ্টমপতির দশায় বিয়ে করলেন না, কিন্তু এমন কোনও গ্রহের দশায় বিয়ে করলেন, যে গ্রহটি অষ্টম ঘরে বসে রয়েছে, অথবা অষ্টমপতির নক্ষত্রে বসে রয়েছে...... সেই দশা চলাকালীন বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ৩০% সম্ভাবনা তৈরি হয়। এবার দেখা গেল, কোনও জাতক/জাতিকার ৩, ১২, ২১, ৩০, ৪, ১৩, ২২, ৩১, ৮, ১৭, ২৬ বা ৯, ১৮, ২৭ তারিখে জন্ম, অথবা তাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করে ৩, ৪, ৮ অথবা ৯ হচ্ছে এবং তাদের মিথুন, সিংহ, কন্যা, ধনু বা মীন লগ্ন, আবার অষ্টমপতির দশায় কিংবা অষ্টমপতির সঙ্গে যুক্ত কোনও গ্রহের দশায় তারা বিয়ে করলেন, সেক্ষেত্রে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৮০%!

এছাড়াও আরও অনেক সূত্র রয়েছে, সে বিষয়ে এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তুর ভূমিকা প্রসঙ্গে আগামী পর্বে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো।

আপনারাও জীবনের ছোট-খাটো সমস্যা সমাধানে বেছে নিতে পারেন Symbol Meditation. এক্ষেত্রে Symbol Meditation (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে। Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement