শ্রী মণি ভাস্কর
বিপদের সময় কিভাবে নিজেকে সংযত রাখবেন, সে বিষয়ে গত পর্বে আলোকপাত করেছি। প্রবন্ধে উল্লিখিত পয়েন্টগুলি সঠিক ভাবে মেনে চললে অনেকাংশেই বিপর্যয় বা সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা যায়। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন করণীয়-কর্তব্য জানা সত্ত্বেও আমরা তা থেকে চ্যুত হই, এবং বিপদে পড়ি। গত বছর অর্থাৎ ২০২২-এই হয়তো অনেককে নানাবিধ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। রাশি-লগ্ন গত ভাবে ২০২২ আপনাদের কেমন কেটেছে, সে বিষয়ে আমি সংক্ষেপে আলোচনা করছি, আপনারা নিজেরাই মিলিয়ে নিতে পারবেন।
যেমন মেষ রাশি বা লগ্নের জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে ২০২২ পারিবারিক বিবাদের মধ্যে কেটেছে। বৃষ রাশি বা লগ্ন যাদের, ভেবে দেখুন গতবছর অর্থাৎ ২০২২-এ আপনাদের খরচ বেড়েছিল। মিথুন এবং সিংহ রাশি/লগ্নের জাতক জাতিকাদের অধিকাংশেরই মানসিক উদ্বেগ, অ্যাংজাইটি, শারিরীক নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে কেটেছে ২০২২। অন্যদিকে কেরিয়ার নিয়ে যথেষ্ট চাপের মধ্যে পড়েছিলেন বৃশ্চিক এবং মকর রাশি/লগ্নের জাতক জাতিকারা। (রাশি/লগ্ন ভিত্তিক এই গণনা একেবারেই প্রাথমিক স্তরের)
আবার চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে মীন রাশি/লগ্নের জাতক জাতিকাদের খরচ বাড়ার সম্ভাবনা। বৃষ রাশি/লগ্নের জাতক জাতিকারা প্রিয় জনের জন্য টেনশনে থাকবেন। কর্কট, বৃশ্চিক এবং মকর রাশি/লগ্নের জাতক জাতিকাদের জন্য উটকো ঝামেলা, মানহানির সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে এই বছরে। যদিও এই গণনা একেবারেই প্রাথমিক স্তরের (ব্যক্তিগত রাশিচক্র অনুসারে ফলাফলের কিছু তারতম্য হয়)।
২০২৩ সালে মীন রাশি/লগ্নের ক্ষেত্রে কেতুর অবস্থান শুভ নয়, আবার বৃষ রাশি/লগ্নের জন্য রাহু এবছর শুভ স্থানে থাকবে না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে, গ্রহ-তারাদের অবস্থানগত বিড়ম্বনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা কি আছে? পরমেশ্বরের কৃপালাভ, শাস্ত্রবিধি অনুসারে দৈবস্থানে “যাত্রা”, যথাবিহিত “অভিষেকম” এ ক্ষেত্রে সুপ্রভাব আনতে পারে।
সমস্যা বুঝবেন কীভাবে? রাহুর দোষ থাকলে সাধারণত যে লক্ষণগুলি দেখা যায়:
১) অলসতা
২) বিলম্ব
৩) বাধা
৪) আকস্মিক দুর্ঘটনা
৫) স্ট্রেস
৬) পারিবারিক জীবনে সমস্যা
৭) বাজে খরচ।
অন্যদিকে কেতুর দোষ থাকলে সাধারণত যে লক্ষণগুলি দেখা যায়:
১) বিভ্রান্তি (কনফিউশন)
২) অব্যবস্থাপনা (মিসম্যানেজমেন্ট)
৩) বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪) একাকীত্ব
৫) নিজের/পরিবারের সদস্যের জন্য বিপুল খরচ।
বৃষ রাশি/লগ্নের জাতক-জাতিকারা রাহুর নেতিবাচক অবস্থানের বিড়ম্বনা কমাতে “শ্রী নাগানাথাস্বামী” মন্দিরে গিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসারে “দুগ্ধ অভিষেকম” করতে পারেন। রাহুর দোষ থাকলে, সঠিক পরামর্শ মেনে “দুগ্ধ অভিষেকম” করা ভালো। কেতুর দোষ থাকলে মীন রাশি/লগ্নের জাতক-জাতিকারা, গণপতি মন্দিরে গিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে দুর্বা+ডাবের জল+আতপ চাল+মধু সহযোগে “অভিষেকম” করতে পারেন। অথবা, সেই গণপতি মন্দিরের নিয়ম অনুসারে “গণপতি অভিষেকম” করা শুভ হতে পারে। এছাড়াও সঠিক মেডিটেশন (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা বা essential oil সহযোগে) সহায়ক হতে পারে।
অভিষেকম কী, কীভাবে অভিষেকম করতে হয়, কীভাবে অভিষেকমের দ্বারা পরমেশ্বরের কৃপা নেমে আসবে, পরবর্তী পর্বে সে বিষয়ে আলোচনা করব।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।