Astrology Tips

বিপদ এড়াতে নিজেকে সংযত রাখবেন কোন উপায়ে, জানাচ্ছেন শ্রী মণি ভাস্কর

মৃত্যুর পূর্বে জীবনের মূল্যায়ন, অসুস্থ হওয়ার পূর্বে সুস্থতার মূল্যায়ন, ব্যস্ততা আসার পূর্বে অবসরের মূল্যায়ন, বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনের মূল্যায়ন, দারিদ্র আসার পূর্বে স্বচ্ছলতার মূল্যায়ন করা।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৩
Share:

মজবুত চিন্তা, সুনিপুণ পরিকল্পনা, সূক্ষ্ম ভবিষ্যত চিন্তা

আমরা এমন পৃথিবীতে ও এমন সময়ে বসবাস করছি, যখন বিপদ-আপদ নিত্যসঙ্গী। কার কখন কোন বিপদ আসে একমাত্র পরমেশ্বরই জানেন। দুর্বিপাক ও আকস্মিক বিপদ বা সঙ্কটে আক্রান্ত হলে— মানুষ স্বভাবতই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়। চিন্তা-ভাবনা ও কাজ-কর্ম বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।

বড় বিপদ থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

পর্ব - ১ :

  • ভাবনার সুদৃঢ়তা, অবিচলিত চিত্ত, ধৈর্যশীলতা এবং পরমেশ্বরের প্রতি স্থির বিশ্বাস রাখা।
  • কল্যাণকর চিন্তা করা।
  • পরমেশ্বরের প্রতি অত্যন্ত ভয় থাকা জরুরী।
  • পরিস্কার কিন্তু নম্র ও ধীরে কথা বলা।
  • কারো ক্ষতি সাধনের চিন্তা না করা, কিন্তু প্রয়োজনে কৌশল অবলম্বন করা।
  • প্রতি মুহূর্তে খেয়াল রাখা।
  • মোট রোজগারের আশি ভাগের এক ভাগ দান করা।
  • সাহায্য করা - বুদ্ধি/বিদ্যা/অর্থ দিয়ে (সবাইকে নয় বেছে বেছে)।
  • বিপাকে-অশান্তি-দুর্ঘটনায় কঠিন ধৈর্য ধারণ করা।
  • ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ এবং মনকে নরম রাখা।
  • হিংসা না করা। (আগুন যেমন কাঠকে নষ্ট করে, হিংসা সৌভাগ্যকে নষ্ট করে)
  • কারো গোপনকথা (সিক্রেট) প্রকাশ না করা। কারো সম্পর্কে কু-কথা অন্যান্যদের কাছে না বলা।
  • প্রতিশোধ নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও ক্ষমা করা।
  • অন্যায় পথে রোজগার নয়, দুর্নীতি যুক্ত না হওয়া।
  • আকাঙ্খা-আশা-অভীষ্ট লক্ষ্য অনেক উঁচুতে স্থির করা।
  • পরিবারের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ, পাড়ার জন্য পরিবারের স্বার্থ ত্যাগ, জেলার জন্য পাড়ার স্বার্থ ত্যাগ, রাজ্যের জন্য জেলার স্বার্থ ত্যাগ, রাষ্ট্রের জন্য রাজ্যের স্বার্থ ত্যাগ, বিশ্বের জন্য রাষ্ট্রের স্বার্থ ত্যাগ, আত্মকল্যাণের জন্য সমস্ত মায়া ত্যাগ করা প্রয়োজন।
  • অলসতা ত্যাগ করে উদ্যমী, পরিশ্রমী এবং শক্তিশালী হওয়া। ত্যাগ না করলে প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হওয়া যায় না।
  • পরমাত্মার কাছে ক্ষমা চাওয়া।
  • প্রার্থনা করা এমন ভাবে, যেন পরমেশ্বর আপনাকে দেখছেন।
  • পরমেশ্বরের কাছে আশ্রয় চাওয়া।
  • নিজেকে সংশোধন করা। সামর্থ্যকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা।
  • প্রয়োজনে নরম প্রতিবাদ করা।
  • প্রকৃত মূল্যায়ন করা -------- মৃত্যুর পূর্বে জীবনের মূল্যায়ন, অসুস্থ হওয়ার পূর্বে সুস্থতার মূল্যায়ন, ব্যস্ততা আসার পূর্বে অবসরের মূল্যায়ন, বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনের মূল্যায়ন, দারিদ্র আসার পূর্বে স্বচ্ছলতার মূল্যায়ন করা।
  • প্রয়োজনীয় খাদ্যের অধিক খাদ্য গ্রহন না করা।
  • মজবুত চিন্তা, সুনিপুণ পরিকল্পনা, সুক্ষ্ম ভবিষ্যতচিন্তা করা।
  • পরমেশ্বর ভরসাকারীদের পছন্দ করেন। তাই তাঁর প্রতি স্থির চিত্তে ভরসা করা।
  • সত্য ও ন্যায়ের পথে নির্ভীক থাকা। সমালোচনাতে প্রভাবিত না হয়ে, সাহসী হওয়া।
  • বিনয়-নম্রতা-আত্মমর্যাদা, পরিচ্ছন্ন অন্তর যুক্ত হওয়া।
  • অর্থের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখা, কিন্তু অর্থ লিপ্সু নয়।
  • সর্বদা পরমেশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ চিত্ত হওয়া।
  • পরমাত্মার কাছে ভুল স্বীকার করা, পুনরায় ভুল না করা।
  • পরমেশ্বর যা দিচ্ছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকা, তবেই ভবিষ্যতে যা নির্ধারিত ছিলো না..... তিনি তাও আপনাকে দেবেন।
  • সঠিক ভাবে আহার, পরিধান করুন। কিন্তু অহংকার বা অপব্যয় কখনোই নয়। পরমেশ্বর বিলাসীদের অপছন্দ করেন।
  • মুখের ভাষায় মধুরতা, আচরণে শুদ্ধতা, সংযত ব্যবহার, দেহ-মনের পবিত্রতা ও বিচারের স্পষ্টতা থাকা প্রয়োজন।
  • চারিত্রিক অসংযমী না হওয়া, অপবিত্র চিত্ত না থাকা, খারাপ সমাজ/বন্ধু ত্যাগ করা।
  • অন্য পুরুষ/নারীকে আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা না করা।
  • দরকার নেই তাও, গৃহে প্রায়শই চিৎকার-অশান্তি করেন। এই প্রবণতা থেকে দূরে থাকা।
  • পরিবারের সদস্যদের উপর একাধিক দিন ধরে রাগ ধরে না রাখা।
  • কথার খেলাপ না করা।
  • অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা না করা, অশান্তিকারীকে আশ্রয় প্রদান না করা।
  • অন্যের সুখ দেখে হিংসা না করা।
  • উগ্রতা নয়, পরমেশ্বরকে সর্বদা স্মরণ করা।
  • নিষ্ঠা সহকারে পরমাত্মাকে খুশি করার জন্য বিশেষ কিছু কর্ম করা।
  • পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে, দেহ-মনে পবিত্রতা নিয়ে প্রার্থনা করা। ঘুম চোখে প্রার্থনা না করা।
  • তেজস্বী, প্রখরতা, হিম্মতওয়ালা, উদার মনস্কতা বজায় রাখা। এই সু-অভ্যাসগুলি বজায় থাকলে সৌভাগ্যের দরজা খুলে যায়।
  • বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে যত্ন-মমতা সহ আশ্রয় দেওয়া।
  • জমি/সম্পত্তির ন্যায্য হক থেকে কোনও অংশীদারকে বঞ্চিত না করা।
  • কারো প্রতি বদ-দুয়া(কু-অভিসন্ধি/শাপশাপান্ত) বা কোনও কিছুর প্রতি বদনজর(কু-নজর) না দেওয়া।

তবে, কথাতেই আছে, বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। অর্থাৎ, বিপদকালে বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়, ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ হয় না, মনসংযোগ ব্যহত হয়। বারংবার সিদ্ধান্ত ভুল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সঠিক মেডিটেশন (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা বা essential oil সহযোগে) সহায়ক হতে পারে।

Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন