সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত নাট্যশাস্ত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ক্লাব 'মাইক-আপ' যাত্রা শুরু করেছিল ২০২২-এ। মাইক-আপের দ্বিতীয় বার্ষিক উৎসব 'নাট্য শাস্ত্র' সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল নিউটাউনের হ্যাপি স্ট্রিটে। উৎসবের প্রথম দিনে বাংলা থিয়েটার জগতের দুই বর্ষীয়ান শিল্পীকে সম্মানিত করা হল।
এসএনইউ নাট্য সম্মান পেলেন বর্ষীয়ান নাট্যকার, অভিনেতা, অধ্যাপক অশোক মুখোপাধ্যায় ও অভিনেতা গৌতম মুখোপাধ্যায়। একই অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয় এনকেডিএর চেয়ারম্যান শ্রী দেবাশিস সেন।
অনুষ্ঠানে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ অনুপম বসু বলেন 'আমরা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে বিশ্বাস করি। থিয়েটার এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশেই শুধু নয় সামগ্রিক শৃঙ্খলার শিক্ষাও দেয়।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া কমিউনিকেশন ও পারফর্মিং আর্টস বিভাগের ডিন ডঃ মিনাল পারিক বলেন 'থিয়েটার শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও তাদের শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করেন। আমরা সিলেবাসের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পচর্চার ওপর সবসময়ই জোর দিয়ে থাকি।
দুদিনের এই নাট্য উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় প্রথম প্রযোজনা ছিল রোকেয়া রংমশালের নিবেদন 'হট্টমেলার ওপারে'। বাদল সরকারের লেখা নাটকটির উপস্হাপনায় ছিল শিশুশিল্পীরাই। দিনের দ্বিতীয় নাটকটি ছিল একক উপস্হাপনা। পুরুষোত্তম রায় এককভাবে উপস্হাপনা করেন 'ক্লাউন '। নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় বনগাঁ ধূলা উড়ানিয়া গোষ্ঠীর উপস্হাপনায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে 'ছিনিয়ে খাইনি কেন' নাটক দিয়ে। উৎসবের শেষ প্রযোজনাটি ছিল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের। উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের 'বহমান' নাটকটি যাত্রা ফরম্যাটে অভিনীত হয় 'মহাকাল' নামে। এনকেডিএর সহযোগিতায় মুক্তমঞ্চেও আয়োজিত দুইদিনের এই নাট্য উৎসব দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন হ্যাপিস্ট্রিটে আসা বহু মানুষ।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়’এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।