মুন চট্টরাজ
একজন সফল চিকিৎসক হয়ে উঠতে কতটা কঠোর পরিশ্রম লাগে, তা সকলেরই জানা। চিকিৎসক মুন চট্টরাজ তা কাজে করে দেখিয়েছেন। শিক্ষাজীবনে সব সময়ে যিনি স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়।
ছোটবেলা থেকেই মুন ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। মার্কশিট জুড়ে প্রতিটি বিষয়ে লেটার আর স্টার মার্কস। যদিও এই সব কিছুই সহজে হাতের মুঠোয় এসে যায়নি। কঠিন পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা আর আত্মবিশ্বাসের মিলিত ফসল মুনকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মুনের কাছে নিজের বলতে শুধু একটা স্বপ্ন ছিল – একজন সফল চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। লক্ষ্য ছিল, ভিড়ের মধ্যে মিশে নয়, বরং নিজের দক্ষতায় সবার থেকে নিজেকে আলাদা করে চেনাবেন তিনি। পছন্দের বিষয়ে সেরা হওয়ার সেই চেষ্টাই মুনের মাথায় একের পর এক পালক যোগ করেছে।
মুন চট্টরাজ
শিক্ষাক্ষেত্র হোক অথবা কর্মজীবন, সব ক্ষেত্রেই তাঁর দক্ষতা এবং একাগ্রতা চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে প্রস্থডনটিস্ট হিসাবে মুনের খ্যাতি সর্বত্র। কর্মজীবনের শুরুটা হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতালে। এখন প্রায়শই কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইতে যান দাঁতের রোগীদের চিকিৎসা করতে। নতুন প্রজন্মের মহিলা চিকিৎসকদের উৎসাহ দিতে এবং নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করে দিতেও সদা তৎপর মুন। অনবরত তাঁদের প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।
আমরি হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা বিভাগকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেন মুন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। মূলত তাঁর উদ্যোগেই আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে উচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয় আমরিতে। বলা বাহুল্য, সেই সময়ে দেশের অন্য কোনও হাসপাতালে এমন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ছিল না। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শহরের নামী শিল্পপতি হোক অথবা তারকা, শিল্পী কিংবা সরকারি কর্মকর্তা – দাঁতের কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে তাঁদের একমাত্র ভরসাযোগ্য সমাধান হয়ে উঠেছেন চিকিৎসক মুন এবং তাঁর দল।
মুন চট্টরাজ
ছোটবেলার স্বপ্ন প্রকৃতপক্ষেই আজ বাস্তব। এই প্রসঙ্গে তাঁর অনুভূতি ঠিক কী? মুনের কথায়, “এ দেশে বহু দাঁতের চিকিৎসক রয়েছেন। আমার স্বপ্ন ছিল, আমি তাঁদের মধ্যে থেকেই একটু আলাদা করে নিজেকে তুলে ধরব। স্বপ্ন যদি রাতে ঘুমোতে না দেয়, তাড়া করে না বেড়ায়, তা হলে তা আসলে স্বপ্নই নয়। আমি নিজের মতো করে সেই স্বপ্নকে ধরার চেষ্টা করে চলেছি।”
চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মুন। এ.এম মেডিক্যাল সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড সেই স্বপ্নেরই বাস্তবিক রূপ। এটি কোনও সাধারণ দাঁতের চিকিৎসাকেন্দ্র নয়। প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, যা অন্যান্য সাধারণ চিকিৎসা কেন্দ্রের চেয়ে আলাদা। এখানে দাঁতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী আধুনিক প্রযুক্তি ও ট্রেন্ডের অনুশীলন জারি রেখেছেন তিনি।
এ.এম মেডিক্যাল সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেড
মুনের দৃঢ় বিশ্বাস, নেতৃত্ব দিতে গেলে শুধুমাত্র নিজে সফল হলেই চলবে না। অন্যদের অনুপ্রাণিত করে যাওয়াটাও সেই দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাই আজকের সমাজে দাঁড়িয়ে নারী স্বাধীনতার জ্বলন্ত উদাহরণ তিনি। একই সঙ্গে তিনি আজ ‘সর্বজয়া’।
এই প্রতিবেদনটি 'উই মেক আস' -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।