এসএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রহ্লাদ কক্কর
“নিজের কাজে সাফল্য অর্জন করতে গেলে, মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হলে সবার আগে নিজেকে নিয়েও মজা করতে শেখা উচিত।”, অন্তত এমনটাই মনে করেন সিনেমা ও বিজ্ঞাপন জগতের নক্ষত্র প্রহ্লাদ কক্কর। শনিবার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে আয়োজিত 'লার্ন টু লাফ অ্যাট ইওরসেল্ফ অ্যান্ড অ্যাড ভ্যালু উইথ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রহ্লাদ কক্কর। সেই আলোচনাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে নিজের বর্ণময় জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা সরস ভঙ্গিতে ভাগ করে নিলেন তিনি।
আলোচনার শুরুতেই কক্কর বলেন, “মানুষের মস্তিষ্কের দু’টি ভাগ। যার মধ্যে একটি যৌক্তিক কাজ করে আর অন্যটি সৃজনশীল। এই সৃজনশীল অংশটাই মস্তিষ্কের ৯০ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে। এই সৃজনশীল অংশকে সক্রিয় রাখা প্রত্যেক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি নিজে মনে করেন, জীবনের ভয়গুলি থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখা যায় আর জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই আসে সৃজনশীলতা।
বিভিন্ন কালজয়ী বিজ্ঞাপন তৈরির সময় ক্যামেরার পিছনের গল্প শোনালেন প্রহ্লাদ কক্কর
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, “মানুষের জীবন এমনিতেই ছোট। তাই বাঁচবার মত করে বাঁচা উচিত। ঝুঁকি নিয়েও এমন কিছু করা যায় যা বাকিরা করে না অথচ সেই কাজই মানুষের মনে থেকে যায়।” তাঁর নিজের বিভিন্ন কালজয়ী বিজ্ঞাপন তৈরির সময় ক্যামেরার পিছনের গল্প শোনানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন কক্কর। বিজ্ঞাপন জগতে তাঁর পা রাখার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল, মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা — এই সব কিছুই স্বভাবসুলভ চিত্তাকর্ষক ভঙ্গিতে ভাগ করে নেন অ্যাড গুরু।
সিনেমা ও বিজ্ঞাপন জগতের নক্ষত্র প্রহ্লাদ কক্কর
বর্তমান সময়ে বিজ্ঞাপন জগতে অন্যতম সেরা নাম প্রহ্লাদ কক্কর। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে গল্প বলতে পারদর্শী কক্কর দেশের বিজ্ঞাপন জগতে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। পেপসি, ব্রিটানিয়া, লিমকা, নেসলে, ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ, সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন, মাস্টারকার্ড, ভিসা ইন্টারন্যাশনাল, ফ্যাব ইন্ডিয়ার মতো ব্র্যান্ডের জন্য তাঁর তৈরি অগুনতি ক্যাম্পেইনের কিছু ঝলক এ দিনের অনুষ্ঠানে এসএনইউ-এর শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরলেন কক্কর। দুই বা তিন দশক আগের তৈরি অ্যাড ফিল্মগুলি দেখে এই প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রীদের উচ্ছাস ছিল দেখার মত। সেই সঙ্গে নস্টালজিয়া উস্কে দিল উপস্থিত অধ্যাপকদেরও।
এই প্রতিবেদনটি 'এসএনইউ’ -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।