Education Symposium

পরিবর্তনশীল শিক্ষাব্যবস্থায় সম্ভাবনার নতুন দিশা, ‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’

গত ১৩ অগস্ট কলকাতার ‘আইটিসি রয়‍্যাল বেঙ্গল’-এ আয়োজিত হয় এই শিক্ষা সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণ। এ বছরের বিষয় ছিল ‘বিল্ডিং ডোরস্, চেঞ্জিং পার্সপেকটিভস্’।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১১:৪৭
Share:

‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’। গত ১৩ অগস্ট কলকাতার ‘আইটিসি রয়‍্যাল বেঙ্গল’-এ আয়োজিত হয় এই শিক্ষা সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণ। এ বছরের বিষয় ছিল ‘বিল্ডিং ডোরস্, চেঞ্জিং পার্সপেকটিভস্’। অর্থাৎ নতুন সুযোগ তৈরি এবং পুরনো চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষ নতুন সম্ভাবনা খুঁজে জীবনকে ভিন্ন ভাবে দেখার চেষ্টা করে। একটি দরজা যেমন নতুন দিগন্ত খুলে দেয়, তেমনই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সামনে নতুন সুযোগ, চিন্তা ও সম্ভাবনার জগৎ খুলে দেয়।

বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এই সমগ্র অনুষ্ঠানটি পাঁচটি পর্বে ভাগ করে আলাদা ভাবে সাজানো হয়। বিভিন্ন পর্বে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিমি ট্যাংরি, শুভময় চক্রবর্তী, ডঃ অভিষেক কুমার এবং চিকিৎসক কুনাল সরকার।

শিক্ষার্থীদের জন্যে আয়োজিত প্রথম সেশনের বিষয় ছিল ‘গেট সেট টু থ্রাইভ, নট জাস্ট সারভাইভ’। অর্থাৎ শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, উন্নতি করার জন্য প্রস্তুত হও। এই একটি ইতিবাচক মানসিকতা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সাহায্য করে নিজেকে উন্নত করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তোলে, যাতে জীবনে শুধুমাত্র টিকে থাকার পরিবর্তে সাফল্য ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া যায়। এই পর্বে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুরজিৎ বিশ্বাস, মীর আফসার আলি এবং শ্রমণ ঝা।

বিকেল ৪টের সেশনে বিষয় ছিল ‘ইস এআই দ্য নিউ মেন্টর?’ অর্থাৎ এআই প্রযুক্তি কি মানুষের জীবনে এগিয়ে চলার নতুন দিশারী হয়ে উঠছে? এই সেশনের বক্তাদের মধ্যে ছিলেন অলোক মজুমদার, দেবতীর্থ বন্দোপাধ্যায় এবং অধ্যাপক (ডঃ) সঞ্জয় এস পাওয়ার।

পরর্বতী অর্থাৎ সান্ধ্যকালীন সেশনের বিষয় ছিল ‘স্টাডি ইন বেঙ্গল’। যেখানে বক্তব্য রেখেছেন বিদ্যুৎ মজুমদার, অধ্যাপক (ডঃ) সৈকত মৈত্র, অধ্যাপক (ডঃ) সত্যজিৎ চক্রবর্তী, শ্রীমতি উমা ভট্টাচার্য, অধ্যাপক (ডঃ) সমিত রায়, সত্যম রায়চৌধুরী এবং ডঃ সুবর্ণ বসু। তাঁরা আলোচনা করেছেন, কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকার বাংলায় একটি অনুকূল শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে যা পাঠ্যক্রম, পরিকাঠামো এবং নিয়োগের সুযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করবে।

সন্ধ্যে ৭:২৫-এর পর্ব ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০: দ্য চেঞ্জিং এক্সপেকটেসনস্’। যার বিষয়বস্তু ছিল শিক্ষার্থীদের পেশাদার জগৎ নিয়ে বদলে যাওয়া প্রত্যাশা। এই পর্বের বক্তাদের মধ্যে ছিলেন রূপক গঙ্গোপাধ্যায়, রাজর্ষি সেনগুপ্ত, ডঃ অর্পণ পাল এবং ডঃ রত্না সিংহ।

শেষ পর্বে ‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’-এর বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘ইম্পর্ট্যান্স অফ এডুকেশন ইন রিয়েলাইজিং ইন্ডিয়াজ ড্রিম’। এই পর্বে জনপ্রিয় অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী ভারতের পরিবর্তনশীল ভবিষ্যতের জন্যে পড়ুয়ারা কী ভাবে নিজেদের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে-- তা নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। সব মিলিয়ে বিগত বছরগুলির মতোই এ বারও দারুণ ভাবে সাফল্যমণ্ডিত হল ‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’।

এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকা আয়োজিত ‘এডুকেশন সিম্পোজ়িয়াম’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন