Apollo Multispeciality Hospitals

ইসকেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের কী ভাবে চিকিৎসা করা হয়? আলোচনায় চিকিৎসক মনোজ কুমার মাহাতা

জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্ট্রোক’ বা ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর মতো রোগ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:২৬
Share:

প্রতীকী চিত্র

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। কারণ এই রক্তের মাধ্যমেই শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। কোন কারণে যদি মস্তিষ্কের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয় কিংবা রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা ছিঁড়ে যায় তখনই স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তখন মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষগুলি কাজ করা বন্ধ করে দেয় ফলে মানুষের জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলি বিকল হয়ে পড়লে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির কার্যকারিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায়।

জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্ট্রোক’ বা ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর মতো রোগ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকলেও ইদানীং তরুণ প্রজন্ম এমন কি শিশুরাও স্ট্রোকে আক্রান্ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে রোগের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবাও।

এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক মনোজ কুমার মাহাতা জানিয়েছেন, “স্ট্রোক মূলত দু’ধরনের হয়ে থাকে, ইসকেমিক স্ট্রোক ও হেমোরেজিক স্ট্রোক। তবে ইসকেমিক স্ট্রোকেই প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হন।”

ইসকেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের কী ভাবে শনাক্তকরণ করা হয়?

বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:

ইসকেমিক স্ট্রোক নিয়ে আলোচনায় চিকিৎসক মনোজ কুমার মাহাতা

চিকিৎসক মাহাতা আরও বলেছেন, “স্ট্রোক হওয়ার পর খুব দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাতে পা-এ দুর্বলতা থাকলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। ইসকেমিক স্ট্রোক ও হেমোরেজিক স্ট্রোক ছাড়াও আরও একটি স্ট্রোক হয় সেটি হল মিনি স্ট্রোক। এই ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ স্ট্রোকের লক্ষণগুলি থাকার পরে রোগী আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এই ক্ষেত্রেও সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে।”

জীবনযাত্রার বদল করলে এই স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। যেমন, অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান, মদ্যপান, দুশ্চিন্তা এ গুলি থেকে বিরত থাকতে পারলে স্ট্রোকের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যে কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য, অ্যাপোলোতে যোগাযোগ করুন:

জরুরি নং: ১০৬৬

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৪৪২০২১২২

ই-মেইল আইডি: infokolkata@apollohospitals.com

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন