‘সেন্টার ফর লিডারশিপ অ্যান্ড এথিক্স’ (ইকেসিএলই)-এর লোগো উদ্বোধন
‘সেন্টার ফর লিডারশিপ অ্যান্ড এথিক্স’ (ইকেসিএলই) উদ্বোধন করল ‘ইআইআইএলএম’ কলকাতা। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দরজা খুলেছে এই নতুন কেন্দ্র। যার লক্ষ্য, নীতি ও নেতৃত্বের বুনোটে ভবিষ্যতের কর্পোরেট পেশাদার গড়ে তোলা। একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে নতুন উদ্যোগ ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় মূল্যবোধের উপর জোর দেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ইআইআইএলএম’ কলকাতার সভাপতি ও পরিচালক এবং শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দেন। তিনি বলেন ‘ইকেসিএলই’ শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং তার থেকে আরও বেশি কিছু হয়ে উঠবে। পড়ুয়াদের ম্যানেজমেন্টের খুঁটিনাটির সঙ্গে জীবনের আদর্শ ও নীতিকে মিলিয়ে নেওয়ার পাঠ দিতে চায় এই কেন্দ্র।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামীর নেতারা ঐতিহ্যের পথ ধরে জন্ম নেয়। নবীন প্রজন্মই একাধারে বর্তমানের পথপ্রদর্শক এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণকারী হয়ে উঠবে। ‘ইকেসিএলই’ পড়ুয়াদের নেতৃত্বের অন্তর্নিহিত উপাদানগুলির বিষয়ে সচেতন করে তুলবে। অতীতের সঙ্গে তার সংযোগ বজায় রেখে তাদের তৈরি করবে আগামীর চ্যালেঞ্জের জন্য। আগামী দশক ও শতকের নেতৃত্ব গড়ে দিতে উদ্যোগী হবে তারা।”
অনুষ্ঠানের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল ‘ইআইআইএলএম’ কলকাতা এবং মালয়েশিয়ার ‘এসইজিআই ইউনিভার্সিটি’র মউ চুক্তি (MoU) স্বাক্ষর। এই চুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘গ্লোবাল রেসিডেন্সি টিচিং মডিউল’-সহ বিজ়নেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক ডিগ্রির কোর্স শুরু হওয়াকে সহজতর করে তুলবে।
এসইজিআই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ অপারেশন, গ্লোবালাইজেশন এবং ডিজ়িটালাইজেশন ম্যানেজমেন্টের অধিকর্তা স্টেলা লউ কাহ ওয়াই শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার দিকটি তুলে ধরেন। তাঁর মতে, একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত বিকাশকে প্রভাবিত করা অপরিহার্য।
স্টেলা বলেন, “এসইজিআই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহায়তা করি। আমরা যদি তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারি, তবে আগামী প্রজন্মকে সফল হতে এবং তাদের হাত ধরে একটি উন্নত বিশ্ব তৈরি করতে সফল হব।”
এসইজিআই বিশ্ববিদ্যালয়, এআইসিপিএ এবং সিআইএমএ, আপগ্র্যাড এবং আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডা-সহ বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সহযোগিতায় ইকেসিএলই বিভিন্ন ধরনের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম তৈরি করতে প্রস্তুত।
এই কেন্দ্রের লক্ষ্য হল ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, কর্পোরেট প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারগুলির বাস্তবায়ন, যা অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা এবং ইন্ডাস্ট্রি ইন্টার্নশিপের উপর গুরুত্ব দেবে।
এই কেন্দ্র ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যারা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেই দক্ষ নয় বরং নৈতিক অনুশীলনের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই প্রতিবেদনটি ‘ইআইআইএলএম’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।