প্রতীকী চিত্র
ফুসফুস মানবদেহের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হলেও এখনও বহু মানুষের মধ্যে তাকে নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, কফ-সর্দি সহ কাশি, হাঁচি, বুকে ব্যথা ইত্যাদি ফুসফুস জনিত রোগের প্রধান উপসর্গ। শরীরে এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে প্রাথমিক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। তাতে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অবশ্যই পালমোনোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। উপসর্গগুলি দু'সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে যথাযথ পরীক্ষা করানোও প্রয়োজন।
ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকজনিত সংক্রমণ-সহ ফুসফুসে নানা সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার কারণেই সৃষ্টি হয়। ফুসফুসের রোগকে শ্বাসনালী, ফুসফুসের ‘প্যারেনকাইমাল এবং প্লুরাল’ রোগে ভাগ করা যায়। শ্বাসনালীর রোগের মধ্যে প্রধানত হাঁপানি, সিওপিডি, শ্বাসনালীর টিউমার সহ অন্যান্য এন্ডোব্রঙ্কিয়াল সংক্রমণ অন্তর্ভুক্ত। প্যারেনকাইমাল রোগের মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের ইন্টারস্টিশিয়াল রোগ, ক্যানসার, সংক্রমণজনিত রোগ (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস, যক্ষ্মা) ইত্যাদি। ফুসফুসের প্লুরাল রোগের তালিকায় পড়ে ‘ইফিউশন’, ‘নিউমোথোরাসেস’, ‘হেমোথোরাক্স’ ইত্যাদি ব্যাধিগুলি।
ফুসফুস সংক্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেখানকার রেসপিরিটরি মেডিসিন কনসালট্যান্ট চিকিৎসক সুমিত সেনগুপ্ত বলেন, “ফুসফুসের সংক্রমণগুলির মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন নেই-- এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।”
চিকিৎসক সেনগুপ্তের কথায়, “হাঁপানি, টিবি-র মতো অসুখও চিকিৎসার মাধ্যমে এখন পুরোপুরি নিরাময় করে তোলা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাই শ্বাসকষ্ট, কফ-সর্দি সহ কাশি, হাঁচি, বুকে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ লক্ষ্য করলেই ভয় না পেয়ে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”
হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪
এই প্রতিবেদনটি ‘এইচপি ঘোষ হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।