CIEM Society & Institute

সি.আই.ই.এম. সোসাইটি এবং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রশান্ত শূরের জন্মদিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত হল বর্ণময় অনুষ্ঠান

আমাদের অনুষ্ঠানগুলি সাধারণত ইংরাজী নববর্ষের দিন থেকে শুরু হয়। কারণ এই দিনেই আমাদের সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত প্রশান্ত শূরের জন্মদিন।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০১
Share:

ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (সিআইইএম)

২০০৩ সালে সি.আই.ই.এম. সোসাইটির উদ্যোগে, ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (সিআইইএম), ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট কোর্স নিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে। খুব অল্প সময়ে এটি দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের বাণীতে বিশ্বাস রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের উপরে জোর দিয়ে থাকি। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলোর মতো অন্যান্য ক্রিয়াকলাপেও সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করি। প্রসঙ্গত বলা ভাল যে সি.আই.ই.এম. সোসাইটি কখনই কোন বাণিজ্যিক লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হয়নি। সরকার পোষিত না হওয়া সত্ত্বেও সি.আই.ই.এম. বরাবরই পরিচালিত হয়ে এসেছে না লাভ-না ক্ষতি নীতির ভিত্তিতে যার সুফল গত ২০-২২ বছর ধরে সি.আই.ই.এম. – এর ছাত্রছাত্রীরা ভোগ করে এসেছে এবং আগামী দিনেও করে যাবে।

আমাদের অনুষ্ঠানগুলি সাধারণত ইংরাজী নববর্ষের দিন থেকে শুরু হয়। কারণ এই দিনেই আমাদের সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত প্রশান্ত শূরের জন্মদিন। ৮০ বছরেরও বেশি বয়সে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।

এ বছরও প্রথম দিনে সিআইইএম এবং সিআইএসএম-এর সমন্বয়ে গঠিত সিআইইএম ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মী ও অন্যান্য সদস্যরা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত প্রশান্ত শূরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান, আবৃত্তি, বক্তৃতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সি.আই.ই.এম. সোসাইটির সভাপতি শ্রীমতি স্বাতী চক্রবর্তী। প্রধান বক্তা ছিলেন আমাদের সি.আই.ই.এম. সোসাইটির সম্পাদক গৌতম ব্যানার্জী এবং সি.আই.ই.এম. এবং সি.আই.এস.এম. কলেজের অধিকর্তা অধ্যাপক ডঃ পুস্পিতা রঞ্জন ভট্টাচার্য্য।

এ বছর ২ জানুয়ারি থেকে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিসে আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তার পরে একে একে ছিল ফুটবল, ভলিবল, ক্যারম, দাবা ইত্যাদিও। বিভিন্ন কলেজ ও প্রতিষ্ঠান থেকে ২১টি দল এতে যোগ দিয়েছিল। প্রতিযোগিতাগুলি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের সকল কর্মী, সদস্য ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬ এবং ৭ জানুয়ারি বিজ্ঞান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি মডেল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম আমরা। তাতে কলকাতা এবং আশপাশের বিভিন্ন স্কুলের নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ৫০টিরও বেশি বিজ্ঞান-ভিত্তিক মডেল দর্শকদের নজর কেড়েছিল। আমাদের বিচারকেরা বিচক্ষণ ভাবে শিক্ষার্থীদের প্রদর্শিত মডেলগুলি পরীক্ষা করেন। তাঁদের বিচারে নবম ও দশম শ্রেণী এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী ২টি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিক্ষার্থীদের হাতে আকর্ষণীয় পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছিল ১০,০০০, ৮০০০ এবং ৭০০০ টাকা। এ ছাড়াও ছিল বিশেষ পুরস্কার বাবদ ৫০০০ টাকা।

এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তাদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০০০ টাকার পুরস্কার। শুধু অংশগ্রহণকারীই নয়, প্রতিযোগীদের অভিভাবকেরাও এই ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া, পরপর তিন দিন টেকনিক্যাল ফেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হ্যাকাথন, কোড ডিফ্ট-এর মতো কার্যক্রম সহ ১৮টি বিষয় ছিল যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীরা যদি সঠিক সুযোগ পায়, তারাও দেশের জন্যে অসাধারণ কিছু অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

১০ জানুয়ারি, ক্রিকেট, ক্যারম, দাবা, ভলিবল, ফুটবল ইত্যাদি আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতাগুলি শেষ হয়। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। যার মধ্যে ছিল ফ্যাশন শো, গ্রুপ ডান্স, একক নৃত্য (পূর্ব ও পাশ্চাত্য), ওয়াল পেন্টিং ও একক গান। সবক’টি প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনা এতই উন্নত মানের ছিল যে, বিচারকদের পক্ষে বিচার করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

এ ছাড়াও গত ১৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানে বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-সহ খ্যাতনামী শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরাই পুরস্কার তুলে দেন প্রতিযোগীদের হাতে। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহু নামী শিল্পীও অংশ নেন।

সবশেষে বলতে পারি, আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র উন্নত মানের শিক্ষা প্রদান করাই নয়। তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধও গড়ে তুলতে চাই আমরা। আমরা চাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কাড়িগরদের জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন চ্যালেঞ্জকে, সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে।সি.আই.ই.এম.–এর ছাত্র ছাত্রীরাই হলো সি.আই.ই.এম. পরিবারের সব চাইতে মুল্যবান এবং আদরনীয় সদস্য সদস্যা।তাদের সর্বোচ্চ উন্নতি সাধনই সি.আই.ই.এম. সোসাইটির প্রধান লক্ষ্য।


এই প্রতিবেদনটি ‘ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন