প্রত্যেকটা প্রেমের গল্পই শুরু রোম্যান্স দিয়ে। তার পরতে পরতে লেগে থাকে উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর সৌন্দর্যের অনুভূতি। কিছু গল্প খুব সহজেই পরিণতি পায় আর কিছু গল্পের কুঁড়ি আটকে যায় প্রতিকুল রাস্তায়। পরিণতি পায়, তবে একটু থমকে গিয়ে — সমস্ত বিপত্তি কাটিয়ে। স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক খেলাঘর এরকমই একটু অন্যরকম প্রেমের গল্প নিয়ে। শান্টু এবং পূর্ণার এক অপ্রত্যাশিত প্রেমের গল্প। শ্রেণীগত সমস্যার কারণে যাদের ভালবাসা হয়তো এক অন্য মোড় নিতে চলেছে।
চলুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গল্পের প্রেক্ষাপট। শান্টু এক জন স্থানীয় গ্যাং লিডার। পূর্ণা একজন ধনী পরিবারের মেয়ে। পূর্ণার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল অন্য একজনের সঙ্গে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পূর্ণার বিয়ের দিনেই শান্টু নিজে পূর্ণাকে বিয়ে করে নেয়।
বিয়েতে একেবারেই মত ছিল না পূর্ণার। বরং এই বিয়ে তার কাছে অপ্রত্যাশিত। কারণ পূর্ণা কোনওদিনও ভাবতে পারেনি যে সে এমন কাউকে বিয়ে করবে, যাকে সে চেনেই না, প্রথমবার দেখছে। তার উপরে শান্টু একজন গুন্ডা।
এই অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পূর্ণা? সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে কী পূর্ণা বাড়ির ঠিক করা ছেলেটিকেই বিয়ে করবে? নাকি এই রীতি মেনে এই নতুন বিবাহকে সম্মান জানিয়ে সংসার শুরু করবে শান্টুর সঙ্গে? গল্পের প্রথম থেকেই দর্শকদের ঠিক এমনই এক টানটান চিত্রনাট্যের উপহার দিতে চলেছে স্টার জলসার ‘খেলাঘর’।
অন্যদিকে আসলে শান্টু কে? গুন্ডার মুখোশের আড়ালে তার আসল রূপ কী? কেনই বা শান্টু এই জীবন বেছে নিয়েছে? বিয়ের পরে পূর্ণা এবং শান্টুর জীবনের এই গল্প, বাংলার দর্শকদের এক অন্য অভিজ্ঞতা দেবে। রোম্যান্স, আবেগ এবং নাটকীয়তার ভরপুর নতুন সিরিয়াল –‘খেলাঘর’ ৩০শে নভেম্বর থেকে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার পর্দায়। প্রতিদিন সন্ধে টা থেকে।
অন স্ক্রিনে শান্টুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন সৈয়দ আরফিন। ইরাবতির চুপকথায় যিনি ইতিমধ্যেই দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অন্যদিকে পূর্ণার চরিত্রে রয়েছেন নতুন মুখ স্বকৃতি মজুমদার।
শো'টি প্রযোজনা করছেন ব্লুজ ওয়াটার পিকচার্স অ্যান্ড প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড। যারা এর আগে খোকাবাবু, ভজ গোবিন্দ, রাখি বন্ধন, ভালবাসা ডট কম এবং টাপুর টুপুর-এর মতো জনপ্রিয় শো'গুলি প্রযোজনা করেছে।
শো'টি উদ্বোধন করতে গিয়ে চ্যানেলের মুখপাত্র জানান, "স্টার জলসার দর্শকদের নাটকীয়তা ও রোম্যান্টিকতায় ভরপুর এবং একটি দ্রুতগতির গল্প উপহার দেবে খেলাঘর। যার ফলে দর্শকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো এই সিরিয়াল দেখবে। সেই সঙ্গে শান্টু এবং পূর্ণার শ্রেণীগত বৈষম্যের এই গল্প দর্শকদের আরও আকর্ষিত করবে।"
তা হলে আর দেরি কেন? এখন থেকে প্রতিদিন সন্ধে ৬ টায় টিভির রিমোট হাতে বসে পরুন স্টার জলসার সামনে। কারণ খেলাঘরের একটা এপিসোডও মিস করা যাবে না।