মৃত সুরাইয়া আক্তার রিসা। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন।
বাঁচানো গেল না ১৫ বছরের স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসাকে। গত বুধবার এক যুবকের ছুরিতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ক্লাস এইটের ছাত্রীকে। আজ, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হল।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সুরাইয়া। ঢাকার কাকরাইলে, স্কুলের পাশেই, ফুট ব্রিজ পেরনোর সময় আচমকাই তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় এক যুবক। চিৎকারে স্কুলের ছাত্রীরা এবং কয়েকজন অভিভাবক ছুটে আসেন। এর পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই রবিবার সকালে মৃত্যু হল তার। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
সুরাইয়ার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাস্তায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন।
এদিকে সুরাইয়ার মৃত্যুর খবর শোনার পরই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। রাস্তা অবরোধও চলে বেশ কিছুক্ষণ।
ঢাকার বংশালে থাকে সুরাইয়ার পরিবার। তার বাবা মহম্মদ রমজান আলি কেবলের ব্যবসা করেন। সুরাইয়ার মা তানিয়া হোসেন গত বৃহস্পতিবার রমনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওবায়দুল খান (২৯) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওবায়দুল ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি টেলারিং দোকানের কাটিং মাস্টার। মাস ছ’য়েক আগে মায়ের সঙ্গে পোশাক সেলাই করতে দিতে ওই টেলারিং শপে গিয়েছিল সুরাইয়া। রিসিট থেকে মোবাইল নম্বর পেয়ে কাটিং মাস্টার ওবায়দুল তার পর থেকেই এই ছাত্রীকে ফোনে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়ার পর ওই যুবক স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে বিরক্ত করতে থাকে। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রীটিকে ছুরি মারা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ওবায়দুলের খোঁজে ওই টেলারিং শপে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু মালিকের দাবি, সে দু’মাস আগেই নাকি চাকরি ছেড়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় ‘ভূত’, শতাধিক মহিলা শ্রমিক অজ্ঞান