বিক্ষোভ: আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের পড়ুয়ারা। ছবি: এপি।
সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পরেও দুই মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে ফের উত্তাল হল বাংলাদেশের সংরক্ষণ-বিরোধী বিক্ষোভ। আজ বিকেল থেকে একযোগে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে মিছিল করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
সোমবার সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার পরে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর বাইরে সোমবার রাতে আরও দু’টি গোষ্ঠীর জন্ম হয়। কিন্তু সোমবার রাতেই সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন।
এর পরেও মঙ্গলবার সকাল থেকে মূল কমিটি ছাড়াও অন্য দু’টি কমিটির ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের আগে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। এমন মন্তব্যে উত্তেজিত আন্দোলনকারীরা একযোগে অনির্দিষ্টকাল অবরোধ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এ দিন ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান এবং নুরুল হক নুর বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আমরা সুনির্দিষ্ট ঘোষণা শুনতে চাই।’’ ধৃত ছাত্রদের অবিলম্বে মুক্তি এবং আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসার দাবিও জানান তারা।