জেএমবি জঙ্গি ফারুক। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়া তিন বাংলাদেশি জঙ্গির মধ্যে এক জন ময়মনসিংহের ত্রিশাল হামলার মূল পাণ্ডা ফারুক। প্রাথমিক ভাবে এমনই মনে করছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজেই সে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের হাত থেকে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে হামলা হয়েছিল। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তিন জঙ্গিকে। তাদের ছাড়িয়ে নিতে ফারুক নামে এক জঙ্গির নেতৃত্বে প্রিজন ভ্যানে হামলা হয়। পুলিশ কনস্টেবলকে খুন করে সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে সানি, রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান নামে তিন জঙ্গিকে নিয়ে পালিয়ে যায় ফারুকের দলবল। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর জালে পড়া বাংলাদেশি নাগরিক তথা জেএমবি জঙ্গি ফারুক ত্রিশালের সেই ফারুক বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা।
আসাদুজ্জামান খান মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি ভারতে ছয় জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন বাংলাদেশের নাগরিক বলেও শুনেছি। কিন্তু আমরা যা শুনেছি, তা সরকারি ভাবে নয়। সরকারি ভাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক যখন আমাদের জানাবে, তখনই আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারব।’’ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের মধ্যে ফারুক নামে এক জনকে আমরা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি। ফারুক ২০১৪ সালে ময়মনসিংহে ত্রিশালে পুলিশ ভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাই করার মামলার আসামি। সে সময় তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রামে
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর কব্জায় থাকা ফারুকই যদি ত্রিশাল হামলার সেই ফারুক হয়, তা হলে তাকে বাংলাদেশে ফেরানো হবে এবং উপযুক্ত বিচার হবে। কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা বাকি দুই বাংলাদেশি জঙ্গির পরিচয় সম্পর্কে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও কিছু জানতে পারেনি। তবে বিষয়টিকে ঢাকা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেই মন্ত্রক সূত্রের খবর।