প্রতীকী ছবি
ব্যস্ত শহরের ভিড় থেকে কখনও কখনও দূরে যেতে চায় মন। সব ছেড়ে পথে নেমে বলতে ইচ্ছে করে, ‘একলা চলো রে’। নিজেকে আড়াল করতে নয়, বরং আরও ভাল ভাবে নিজেকে বোঝার তাগিদে। নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য ভ্রমণের চেয়ে বড় বিকল্প আর কী-ই বা হতে পারে! পুজোর মতো একটা বড় ছুটি বেড়াতে যাওয়ার জন্য বেশ ভালই। ঘুরতে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে সমস্যা নেই একলা পথে।
গন্তব্য, হোটেল, গাড়ির বুকিং ইত্যাদি সেরে রাখুন:
প্রথমেই চাহিদা অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে কোথায় যাবেন। প্রয়োজনীয় সমস্ত গাড়ি ও হোটেলের বুকিং, আগে থেকে সেরে ফেলার জন্য ভাল করে জেনে নিতে হবে জায়গাটি সম্পর্কে। একটু আধটু জেনে রাখতে হবে সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কেও।
যদি বিদেশে যান:
ভিসার জন্য হোটেল বুকিংয়ের নথি লাগে। অনেক সময়ে শেষ মুহূর্তে ভিসা না পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। তাই এমন হোটেল বুকিং করা উচিত. যেখানে বুকিং বাতিল হলেও সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সাইটে চোখ রাখলে অনায়াসেই এই সব তথ্য পাওয়া যায়।
প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপ:
যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোয়। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করার অনেক সুবিধাও রয়েছে। সেগুলো জানতে হবে। একা বেড়াতে যাওয়ার আগে ভাল একটা মুঠোফোন এবং তাতে প্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে সুরক্ষা সম্পর্কিত অ্যাপ, খাবার সম্পর্কিত ভাল অ্যাপ, গাড়ি ও পুলিশি সহায়তা পরিষেবার অ্যাপ ইত্যাদি।
কথা বলুন:
হোটেল হোক বা হোমস্টে — রিসেপশন, হোটেলকর্মী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলুন। জানার চেষ্টা করুন ওখানকার রাস্তা, খাবার, ওষুধের দোকান, ভাল মন্দ ইত্যাদি সব রকম খুঁটিনাটি সম্পর্কে। এই সব তথ্য যে কোনও বিরূপ পরিস্থিতিতে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ব্যাগ, জামাকাপড় ও টুকিটাকি:
একা বেড়াতে হলে নিজের মালপত্রের বোঝা যতটা সম্ভব হালকা রাখুন। এতে ঘুরতেও যেমন সুবিধা হবে, তেমন প্রয়োজনে তাড়াহুড়োও করে কোনও কাজও সারতে পারবেন। টর্চ, আত্মরক্ষার বিভিন্ন জিনিস, ওষুধ, স্যানিটারি প্যাড, নানা গ্যাজেট, টাকা ইত্যাদি জরুরি জিনিসগুলি হাতের সামনে রাখুন। জায়গা অনুযায়ী জামাকাপড় বাছুন।
উপভোগ করুন তবে নিজেকে সামলে:
মুঠোফোন তো আছেই, তবু শখ থাকলে ভাল একটা ক্যামেরা রাখতে পারেন সঙ্গে। পরিশেষে মনে রাখবেন, আপনি ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। তাই সময়টা প্রাণ ভরে উপভোগ করাই যায়। নিজেকে একটু সামলে রাখবেন। কার সঙ্গে কতটুকু মিশবেন, কী ভাবে কথা বলবেন সেটা মাথায় রাখা ভাল। তাতে বিপদ এড়ানো সহজ। অচেনা জায়গায় পাব, নাইট ক্লাবে যেতে চাইলে নিজেই সাবধান থাকা জরুরি। মনে রাখবেন, ছুটির ওই ক’টা দিন আপনি নিজেই নিজের অভিভাবক।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।