ভূতেরা কি মদ্যপান করে? কে জানে! এই বিষয় নিয়ে গবেষণা আজ পর্যন্ত হয়তো হয়নি। কিন্তু এমন শুঁড়িখানা রয়েছে, যেখানে ভূতেদের নাকি নিত্য আনাগোনা! উৎসবের মরসুমে মদ্যপান করতে করতে এই ভূতের গল্প বন্ধুদের শোনাতে পারেন কিন্তু। ভূতচতুর্দশীর সন্ধেটা তা হলে দারুণ জমে যাবে।
ভূতেদের এই শুঁড়িখানা রয়েছে ইংল্যান্ডে। কটসওল্ডস এলাকার একেবারে শেষ প্রান্তে এই পাব।
এনশিয়েন্ট র্যাম ইন বললেই যে কেউ দেখিয়ে দেবেন। আর সেখানে একটু বেশি সময় কাটালেই নাকি দেখা পাওয়া যাবে ভূতেদের।
কিন্তু মদ্যপানের ঠেকে ভুতেরা এল কোথা থেকে? লোককাহিনি বলছে, এখানে মদ্যপানের সঙ্গে ভূতেদের প্রত্যক্ষ কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে এখানে এক সময়ে ছিল পেগান মতে বিশ্বাসী কিছু মানুষের কবরস্থান। তার উপরেই নাকি তৈরি হয় এই পাব।
তবে পাব তৈরি হলেও ভূতেরা নাকি তাদের বাসস্থান ছেড়ে যেতে চায়নি। ফলে রাত নামলেই শুঁড়িখানার অতিথিদের দেখা দেয় তারা।
শোনা যায়, সব মিলিয়ে নাকি এখানে ২০টিরও বেশি ভূত রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি শিশুর ভূতও। আর আছে কয়েক জন পেগান পুরোহিত। এই সব ভূতেদের সাক্ষাৎ পেতে এখন এখানে ‘গোস্ট ট্যুর’ চালু হয়েছে।
সেই সফরের গোড়ায় আবার বলেও দেওয়া হয়, ‘এসেছেন বটে, তবে ঝুঁকি আছে। তার দায়িত্ব আপনার নিজের।’
কেমন ঝুঁকি? প্রাণ যেতে পারে নাকি? শোনা যায়, এই ভূতেদের মধ্যে এক জন নাকি রীতিমতো সুন্দরী। এক সময়ে রূপের জাদুতে বহু পথিককে ভুলিয়ে তাঁদের সর্বনাশ করেছে।
আজও নাকি সেই ভূত সমান শক্তিশালী। সেই কারণেই পর্যটকদের জন্য চেতাবনি, ‘এই সফরে এলে সব সময়ে চোখ খুলে রাখবেন না। ভয় পেলেই চোখ বন্ধ করে ফেলুন।’ কে বলতে পারে, পরপারের কোনও সুন্দরীর মোহে আচ্ছন্ন না হয়ে যান!