ঝকঝকে নীল আকাশ। পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ফাঁকে সোনালি রোদের ঝিলিক। বাকি সব ঋতুর চেয়ে শরৎকাল যেন বাঙালির একটু বেশিই প্রিয়। কারণ? এ সময়টাতেই যে সপরিবারে ঘরে ফেরেন উমা। ঢাকে কাঠি পড়তেই আকাশ-বাতাসে দুর্গাপুজোর আমেজ। আর ছুটি ছুটি মন! কোথাও বেড়াতে যাওয়ার এই তো মোক্ষম সময়!
উৎসবের মেজাজে তাই শরতকে উপভোগ করার সেরা ঠিকানার খোঁজ পড়ে তড়িঘড়ি। দেশের নানা প্রান্তে আছে এমন আটটি জায়গা, যেগুলি এই সময়টায় হয়ে ওঠে স্বপ্নপুরীর মতো সুন্দর। জেনে নিন তাদের হদিশ।
মানালি, হিমাচল প্রদেশ: হিমাচলের এই অত্যাশ্চর্য পাহাড়ি শহর, যেখানে প্রকৃতির রূপ দেখে চোখ ফেরানো কঠিন। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্যও এটি আদর্শ স্থান। রয়েছে ট্রেকিং, স্কি, রাফটিংয়ের মতো নানা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সুযোগ। শরতে মানালি হয়ে ওঠে আরও নয়নাভিরাম। দেবদারু গাছের বাদামি পাতায় ছবির মতো সুন্দর লাগে ছোট্ট শহরটাকে।
নৈনিতাল, উত্তরাখণ্ড: উত্তরাখণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে এই শৈলশহরটি তার মনোরম হ্রদ ও চারপাশ ঘিরে থাকা সবুজে মোড়া পর্বতমালার জন্য বিখ্যাত। শরৎকালের নৈনিতালের রূপ যেন তুলির টানে আঁকা। পাহাড়ের সবুজ তখন রং বদলে সোনালি। সে ছায়া এসে পড়ে নৈনিতাল লেকে। সে দৃশ্য ভোলার নয়!
শিলং, মেঘালয়: শিলং হল মেঘালয়ের হৃদয়। এই পাহাড়ি শহরের সবুজ প্রকৃতি, ঝর্না ও পাহাড় ও উপত্যকার অপরূপ নিসর্গ বরাবরই ভ্রমণার্থীদের মুগ্ধ করে। বিশেষত শরৎকালে ঝকঝকে আকাশ আর সুন্দর আবহাওয়া যেন আরও সুন্দরী করে তোলে শিলংকে।
মুন্সিয়ারি, উত্তরাখণ্ড: উত্তরখণ্ডের এই পাহাড়ি এলাকার সবুজ বন, এলোমেলো শীতল বাতাস এবং নদীর-মিলন স্থলের স্নিগ্ধতা সারা বছর পর্যটকদের মুগ্ধতা কুড়োয়। শরতে পঞ্চচুলি শিখরে জমে থাকা বরফ আর বিকেলের সূর্যাস্ত অপরূপ এক দৃশ্য তৈরি করে।
লেহ, লাদাখ: লাদাখ অঞ্চলে লেহ তার প্রাকৃতিক শোভা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। সুউচ্চ পর্বতমালা, তার বরফ ঢাকা চূড়া, বিস্তীর্ণ মরুভূমি শরতে এক নতুন রং মাখে। এ সময়টায় এখানে স্থানীয় সংস্কৃতিতে পালিত হয় নানা রকম উৎসব। তা নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওনা।
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ: এ রাজ্যে বাঙালির চিরচেনা পাহাড়ি ছুটির ঠিকানা এই শহর। শরতে যার জুড়ি মেলা ভার। এ সময়ে এখানকার চা বাগানগুলি যেন আরও অপরূপ দেখায়। মনোরম প্রাকৃতিক শোভা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, দুইয়ের মিশেলেই শরতের দার্জিলিং অনন্য।
কল্পা, হিমাচল প্রদেশ: হিমাচলের আর এক অপরূপ পাহাড়ি গন্তব্য, যা প্রকৃতির চমৎকার রূপ এবং শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত। সাংবাল নদীর পাড়ে এই জায়গাটি থেকে কিন্নর কৈলাস পর্বতমালার শোভা অবর্ণনীয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।