কাজের চাপে সারা বছর বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। শুধু অফিস আর বাড়ির সরলরেখা জীবন একঘেয়ে লাগলেও উপায় কী! অনেকেই তাই তাকিয়ে থাকেন উৎসবের মরসুমে লম্বা ছুটির দিকে। পুজোর পরে পকেটসই বাজেটে ঘুরে আসতেই পারেন পড়শি রাজ্য বিহারের সাসারাম থেকে।
এখানে আছে ইতিহাস ও প্রকৃতির এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন, যা আপনাকে কিছু দিনের জন্য ভুলিয়ে দিত পারে জীবনের সমস্ত চাপ, চিন্তা, ক্লান্তি। আসুন তা হলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সাসারামে গেলে কোন কোন জায়গা অবশ্যি দেখবেন।
শের শাহ সুরির সমাধি: বেলেপাথরে তৈরি এই সমাধিটি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। আজও যা দুর্দান্ত ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে।
মাঞ্জারকুণ্ড: এই মাঞ্জারকুণ্ড জলপ্রপাত ছবির মতো সুন্দর। কুণ্ডের জল প্রাকৃতিক খনিজ সমৃদ্ধ এবং হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
মা তারা চণ্ডী মন্দির: বিন্ধ্য পর্বতমালার কৈমুর পাহাড়ের একটি প্রাকৃতিক গুহায় এই মন্দিরটি রয়েছে। এখানে মা তারার মুর্তি চার হাত বিশিষ্ট।
হাসান খান সুরির সমাধি: ১৫৩৫ থেকে ১৫৪০ সাল পর্যন্ত সাসারাম ছিল সুরি রাজবংশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র। হাসান খান সুরির পুত্র শের শাহ সুরি তাঁর শেষ বিশ্রামস্থলে এই সমাধি স্থাপন করেন।
রোহতাসগড় দুর্গ: রাজা হরিশচন্দ্র তাঁর পুত্রের স্মরণে এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। ভারতে পাহাড়ের উপরে নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
চৌরাসন মন্দির: শহরের হিন্দু পণ্ডিতেরা এই চৌরাসন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে শিবের পুজো করা হয়। ভারতীয় পদ্ধতিতে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটির দেওয়ালে অসংখ্য ভাস্কর্য খোদাই করা আছে।
তারা চণ্ডী পাহাড়: তারা চণ্ডী পাহাড়ের মন্দিরে মা কালীকে পুজো করা হয়। মন্দিরে দেবীর পাথরে তৈরি একটি অভূতপূর্ব মূর্তি রয়েছে।
তুতলা ভবানী জলপ্রপাত: সবুজে ঘেরা এই মনোরম জলপ্রপাতটি পর্যটকদের নজর কাড়ে। নিসর্গের নিরিখে ভারতের অন্যতম সুন্দর জলপ্রপাতগুলির মধ্যে একটি এই জলপ্রপাত।
শেরগড়: ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এই দুর্গের চারপাশে প্রাকৃতিক শোভা অতুলনীয়। ঐতিহাসিকদের মতে, দিল্লিতে হুমায়ুনকে পরাজিত করার পরে এখানকার রাজা তাঁর হিন্দু স্ত্রীর জন্য এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।