পুজোর মরসুমে সারা কলকাতা ঘুরে দুর্গাপুজো, কালীপুজো দেখলেও, এ শহরের বাকি অনেক জায়গা আর ঘুরে দেখাই হয় না। অনেকেই জানেন না, এই কলকাতার বুকেই আছে এমন বেশ কিছু জায়গা, যেগুলি আপনাকে আকর্ষণ করবেই।
বাতাসে এখন মাঝেমধ্যেই হালকা শীতের আমেজ। ছুটির দিনে বরং বেরিয়ে পড়ুন বাড়ির সবাইকে নিয়ে।ঘুরে আসুন শহরের এই জায়গাগুলি।
পার্শ্বনাথ জৈন মন্দির: উত্তর কলকাতার এই জৈন মন্দিরের শিল্পকলা ও কারুকার্য অবাক করে সবাইকে। ১৮৬৭ সালে এটি তৈরি করেছিলেন রায় বদ্রিদাস বাহাদুর। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই মন্দির পরিদর্শন করেন।
জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি: জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িটি ১৭৮৪ সালে গড়ে উঠেছিল নীলমণি ঠাকুরের উদ্যোগে। কলকাতার উত্তরে এ বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম।
মল্লিকঘাট ফুল বাজার: মল্লিকঘাট ফুল বাজার কলকাতার একটি অন্যতম ফুলের বাজারগুলির একটি। হুগলি নদী লাগোয়া এই বাজারে প্রতি দিন নানা প্রজাতির ফুল বিক্রি হয়। এখান থেকে বিভিন্ন দোকানে ফুল সরবরাহ করা হয়।
ছাতু বাবু-লাটু বাবুর রাজবাড়ি: বিডন স্ট্রিটের এই বাড়িটি কলকাতার অন্যতম একটি ঐতিহ্য। রামদুলাল দে এই বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। এ বাড়িতে দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়। দর্শন করতে ভিড় করেন শয়ে শয়ে মানুষ।
এয়ারক্র্যাফট মিউজিয়াম: কলকাতার নিউটাউনে এই মিউজিয়ামটি ভারতের সামরিক মিউজিয়ামগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে যুদ্ধবিমানের ভিতরে ঢুকে সাধারণ মানুষ সমস্ত খুঁটিনাটি জেনে নিতে পারেন।
নিপ্পনজান মায়োহোজি বৌদ্ধ মন্দির: দক্ষিণ কলকাতার লেক রোডে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩১ সালে। এটি স্থাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মের নিপ্পনজান মায়োহোজি বা নিপ্পনজান-মায়োহাজি-ডাইসাঙ্গা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস অনুসরণে।
দক্ষিণ পার্ক স্ট্রিট কবরস্থান: কলকাতার ঐতিহাসিক এই কবরস্থান ১৮১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শহরের অন্যতম পুরনো কবরস্থানগুলির একটি। এখানে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ সরকারের পদস্থ কর্তা, সৈন্যদের কবর রয়েছে।
জাতীয় গ্রন্থাগার: ১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময়ে এটি ছিল এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন এই লাইব্রেরির প্রথম মালিক। ভারতের তদনীন্তন গভর্নর-জেনারেল লর্ড মেটকাফ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ লাইব্রেরির ৪,৬৭৫টি বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছিলেন।
কুমোরটুলি: কলকাতার এই বিখ্যাত স্থানটি প্রতিমা তৈরির জন্য পরিচিত। কুমোরটুলির প্রতিষ্ঠা ১৯ শতকের শেষের দিকে, কলকাতায় আসা মৃৎশিল্পীদের হাতে।