সিসিইউ ফেস্টিভ্যালের নেপথ্য কারিগরেরা
কলকাতা মানেই বৈচিত্র্যে ভরা। কলকাতা বাঙালির কাছে আবেগ। এই শহর দেখেছে কত সংগ্রাম; প্রত্যক্ষ করেছে ভালবাসা। যে শহরের প্রতিটি পাতায় রয়েছে কত-শত স্মৃতির আস্তরণ। শিল্প, নৈপুণ্যের আভিজাত্যে মোড়া এই শহর। সেই আভিজাত্যকে সঙ্গে নিয়েই সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটেছে সাংস্কৃতিক বিবর্তন। আর তারই মধ্যে কিছু সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে শহরের বুকে। সেই হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং শহর কলকাতার বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে মেঘদূত রায়চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েছেন এক অনন্য প্রোজেক্টের। যার নাম — মেক ক্যালকাটা রেলেভেন্ট এগেইন। এরই অংশ হিসেবে শুরু হচ্ছে দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল। বলা ভাল, এমন উৎসবের সাক্ষী আগে কখনও থাকেনি কলকাতা। যেখানে কলকাতার বেশ কিছু দিক যেমন ফিটনেস, ডিজাইন, উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, খাদ্য, সঙ্গীত ইত্যাদিকে অন্য ভাবে উদযাপন করা হবে। উদ্দেশ্য শহরকে আরও গতিশীল এবং উদ্ভাবনী করে তোলা।
২৯ অক্টোবর তাল কুটির কনভেনশন সেন্টারে দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যালের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ৬টি সম্মেলন রয়েছে এই ফেস্টিভ্যালে। এবং প্রতি সম্মেলনে নির্বাচিত ৩টি করে পুরস্কার রয়েছে। এই শহরের ইতিহাস, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ উদযাপনই মূল উদ্দেশ্য। কলকাতাকে অতীতে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন, বর্তমানে প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন এবং ভবিষ্যতে প্রাসঙ্গিক করে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে এই অনুষ্ঠানে।
সিসিইউ ফেস্টিভ্যালের লোগো প্রকাশ
এই বিষয়ে মেক ক্যালকাটা রেলেভেন্ট এগেইন –এর প্রধান উদ্যোক্তা এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায়চৌধুরী জানাচ্ছেন, “দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করতে পেরে গর্বিত মেক ক্যালকাটা রেলেভেন্ট এগেইন। কলকাতার হারিয়ে যাওয়া গৌরবকে ধাপে ধাপে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার চেষ্টা করব আমরা। বিশ্বের কাছে তুলে ধরব শহর কলকাতার নানা গল্প। এই ফেস্টিভ্যাল শহরকে এমন ভাবে উদযাপন করবে যা আগে কখনও হয়নি। এবং শহর জুড়ে বিভিন্ন শাখার নতুন আইকনদের তুলে ধরা হবে।”
সম্প্রতি ১৪ অক্টোবর দ্য সিসিইউ ফেস্টিভ্যালের লোগো প্রকাশ করা হয়। বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতি আরও বর্ণময় করে তোলে এই অনুষ্ঠানকে। উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার কলকাতা নিক লো, জার্মান কলসুলেটের কনসুলেট জেনারেল ম্যানফ্রেড অস্টার, প্রখ্যাত মিউজিশিয়ান অমিত দত্ত, ওয়াই-ইস্ট-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তথা টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সাস্টেইনেবেলিটি ডিরেক্টর পলিন লারাভঁইর এবং মেঘদূত রায়চৌধুরী নিজে।
অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে পলিন জানান, “এই ফেস্টিভ্যালে ১৭ ঘণ্টা জুড়ে ১৪টি ইভেন্ট থাকছে। রয়েছে ক্রিয়েটর্স ফেস্ট, যেখানে এক ছাদের তলায় ৫০০ জন ক্রিয়েটরদের একত্রিত করে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনাকে উৎসাহিত করা হবে। পূর্ব ভারতে এক হাজার স্টার্ট-আপ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। থাকছেন ৮০ জন বিনিয়োগকারী। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানেই লঞ্চ হতে চলেছে মুভিং কলকাতা। এটি কলকাতা মুভিং প্রোজেক্ট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অর্থায়ন প্রকল্প, বিশেষত ইউনিক গ্লোবাল, ইউরোপিয়ান স্পেসেস অফ কালচার দ্বারা পরিচালিত।”