আজ থেকে অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বসছে সিসিটিভি। বহু বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এই কাণ্ডটি ঘটছে। যে যন্ত্রটিকে ঘিরে এই তর্কবিতর্ক, আমাদের পারিবারিক জীবনে তার কার্যকারিতা কী?
পুজোর সময় বাড়ি ফাঁকা রেখে সপরিবারে ঠাকুর দেখতে বেরলে বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে সবসময়ই চিন্তা থাকে। আর ক’দিনের জন্য বেড়াতে গেলে তো আরওই। তাই বাড়তি সুরক্ষার জন্য নিজের বাড়িতেও বসাতে পারেন সিসিটিভি ক্যামেরা।
কী এই সিসিটিভি? এর কাজ কি এবং আর বাড়ির কোন কোন জায়গায় এটি বসালে এর সাহায্যে আপনি সজাগ থাকতে পারবেন বাড়ির নিরাপত্তা সম্পর্কে? খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।
এখন ট্রেনে, বাসে, অফিসে বা রাস্তার মোড়ে নানা জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো হয়। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে সময় অনুযায়ী কোনও নির্দিষ্ট জায়গার সারা দিনের ভিডিয়ো রেকর্ড করা যায়। কোনও রকমের সমস্যা উপস্থিত হলে বা অনৈতিক কাজ ঘটলে তা রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা যায় ও জরুরি যে কোনও পদক্ষেপ করা যায়।
বলা হয়, বাড়ির সামনের ও পিছনের দরজার কাছে, জানলার বাইরে, রাস্তার থেকে বাড়িতে ঢোকার অংশে বা গ্যারেজের বাইরে ইত্যাদি জায়গায় সিসিটিভি লাগাতে পারেন। সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ হল ভিডিয়োর মাধ্যমে নজরদারি রাখা। তাতে একটি মনিটর প্রয়োজন যার মাধ্যমে স্ক্রিনে দেখা যায় যে কোন ক্যামেরার সামনে কী কী গতিবিধি চলছে।
যদি আপনি সারা রাতের জন্য বাড়ির বাইরে থাকেন, তা হলেও ক্ষতি নেই। এখন এই ধরনের ক্যামেরা আপনি নিজের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও চালনা করতে পারবেন। অত্যাধুনিক ক্যামেরার সাহায্যে প্রয়োজনে শব্দও রেকর্ড করা যায়। এতে আপনি জানতে পারবেন, আপনার অনুপস্থিতে কোনও আশঙ্কাজনক ঘটনা ঘটছে কিনা। আধুনিক সিসিটিভি আপনার ফোনের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে রাখলে, আপনার বাড়ির আশেপাশে বা বাড়ির ভিতর কোনও সন্দেহজনক ঘটনা ঘটতে দেখলে, আপনার ফোনে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে সতর্কবার্তা বা ‘অ্যালার্ট’। এর মাধ্যমে আপনার বাড়ির সুরক্ষা থাকবে আপনার হাতের মুঠোয়। আর নিরাপত্তা নিয়ে অযথা ঝুঁকি না নিয়েও আপনি নিশ্চিন্তে বাইরের আমোদ-আহ্লাদ মেটাতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।