এই অতিমারীর সময়ে আমাদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হল- ভাইরাস সংক্রমণের সমস্ত রাস্তাকে বন্ধ করা। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা যেমন নিজেদের স্যানিটাইজ করছি, তেমনই স্যানিটাইজ করছি আমাদের পোশাক থেকে বাসনপত্র, এমনকি শাকসব্জি ও ফলকেও। বাজার থেকে আনা শাকসব্জি বা ফল কিনে এনে বেশ ভাল করে ধুয়ে, তবেই ফ্রিজে রাখা বা রান্নায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সাফ করা হচ্ছে বাজারের ব্যাগটাকেও। এর কারণ আর কিছুই নয়, ওই শাকসব্জি বা ফলমূলের মধ্যে দিয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো।
সব্জি ধোয়ার সেই ঝামেলা থেকেই এ বার মুক্তির পালা। বাজারে এসেছে এমন একটি গ্যাজেট, যা সব্জির মধ্যে বয়ে নিয়ে আসা সমস্ত রাসায়নিক, পেস্টিসাইড, ব্যাক্টেরিয়া-সমেত যাবতীয় জীবাণু থেকে মুক্তি দেবে। এই যন্ত্র- ভেজিটেবল স্যানিটাইজারে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির নাম ওজোন কেমিক্যাল ফ্রি ক্লিনিং। রান্না করার আগে এই গ্যাজেটটির সংস্পর্শে আনুন শাকসব্জি বা ফল। আর যখন রান্না করবেন, বার করে ফেলুন। ব্যস, আর ভয় নেই!
শুধু সব্জি বা ফল নয়, মাছ-মাংসের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন মাত্র ১৮০০ গ্রাম ওজনের এই গ্যাজেট। ভেজিটেবল স্যানিটাইজার দু’ধরনের পাওয়া যায়- একটা টেবিল টপ, অন্যটা ওয়াল মাউন্টেড বা দেওয়ালে ঝোলানো। এটি চালাতে লাগবে ২৩০ ভোল্টের ১৩ ওয়াট বিদ্যুৎ। জীবাণুমুক্ত করতে সময়ের মাপ নির্দিষ্ট করতে যন্ত্রে টাইমার লাগানো আছে। স্যানিটাইজ করার সময়সীমা ১৫ মিনিটের বা ৩০ মিনিটের। মনে রাখবেন, এই যন্ত্রটি সব্জি বা মাছ-মাংসের শুদ্ধিকরণ করে ওজোন গ্যাস দিয়ে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে ওয়ান প্লাস, সাধ মেটাবেন নাকি?
এই ধরনের একটি ভেজিটেবল স্যানিটাইজারের দাম ৭ হাজার টাকার মতো। তবে এখন প্রচুর ছাড়ও মিলছে তাতে। ফলে যন্ত্রটি পাওয়া যাচ্ছে প্রায় অর্ধেক দামে। ব্র্যান্ড হিসেবে এখন সবচেয়ে চাহিদা কেন্ট-এর। তবে সব্জির জীবানু নাশ করার জন্য একটি ভেজিটেবল ক্লিনার আছে প্রেস্টিজ-এরও। সেটিও দেখতে পারেন।